X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কেন পেশা বদলাচ্ছেন শিক্ষকরা?

এস এম আববাস
২৫ আগস্ট ২০২১, ১৩:০০আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২১, ১৮:২০

অন্য পেশায় সরে যাচ্ছেন বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের শিক্ষকরা। সুযোগ পেলেই প্রশাসনসহ অন্য চাকরিতে যাচ্ছেন। কাঙ্ক্ষিত মর্যাদা ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা বেশি পেতেই এমনটা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩২তম বিসিএসে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন মো. ফয়সাল ফেরদৌস। চাকরি করেন ২০১৬ সালের মে পর্যন্ত। এরপর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে চাকরির সুযোগ পেয়ে সেখানে যোগদান করেন।

একইভাবে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের আল আমিন শিক্ষকতা ছেড়ে আনসার ক্যাডারের সহকারী পরিচালক পদে আসেন। উদ্ভিদবিজ্ঞানের সাবেক এ শিক্ষক এখন ১২ আনসার ব্যাটালিয়নের অধীনে শেরপুর জেলার নলিতাবাড়ি উপজেলায় কর্মরত।

খুলনার সরকারি ব্রজলাল কলেজে মার্কেটিং পড়াতেন ইসমাইল হোসেন। প্রভাষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন ২০১৪ সালের আগস্টে। চার বছর চাকরির পর প্রশাসন ক্যাডারে সুযোগ পেয়ে বদলে ফেলেন পেশা। এখন তিনি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার। ৩৭তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের জোবায়দা সুলতানাও পেশা বদলেছেন। শিক্ষকতা ছেড়ে এখন নাটোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার তিনি। 

মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিনিয়তই শিক্ষকদের পেশা বদলানোর আবেদন করতে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ২২ জুন স্বাক্ষরিত জারি করা আদেশে দেখা গেছে, ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন জানিয়েছেন তিনজন।

বিভিন্ন সময় বিসিএস-এ অংশ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেন অনেকে। তাদের অনেককে মৌখিক পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে শর্তসাপেক্ষে। শর্তে বলা হয়েছে, প্রার্থিত পদে চাকরি পেলে বর্তমান চাকরিতে ইস্তফা দিতে হবে তাদের। 

শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলছেন, যেকোনও ক্যাডারের তুলনায় শিক্ষায় কর্মরতরা বৈষম্যের শিকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের একজন উপসচিব গাড়ি কেনার জন্য লোন পান। চালকসহ রক্ষানাবেক্ষণের জন্য ৫০ হাজার টাকা পান। অথচ একজন অধ্যাপক গাড়ি কেনার ঋণও নিতে পারেন না। তা ছাড়া এখন শিক্ষকদের আগের মতো সম্মানের চোখেও দেখা হয় না। এসব কারণেই তারা অন্য পেশায় ঝুঁকছেন।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও পালন করতে হয়। এটা করতে গিয়ে কেউ হয়তো শিক্ষকতায় আবার ফিরতে চান না। সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। শিক্ষা ক্যাডারে যোগ দিয়ে আগামী প্রজন্মকে জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধের মাধ্যমে তৈরি করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

শিক্ষকদের ক্যাডার করার কারণে কেউ কেউ পদবীর অপব্যবহার করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের আরও সম্মান ও মর্যাদা বাড়াতে তাদের ক্যাডার করা হয়েছে। কেউ যদি অপব্যবহার করেন সেটি দুঃখজনক। সব শিক্ষকরা তেমনটা চান না। তারা নিবেদিতভাবেই শিক্ষকতা করেন।’

 

 

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সংকট থেকে উত্তরণে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান মেননের
সংকট থেকে উত্তরণে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান মেননের
কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
কান উৎসব ২০২৪কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
ধোনি-জাদেজার লড়াই ছাপিয়ে প্লে অফে বেঙ্গালুরু
ধোনি-জাদেজার লড়াই ছাপিয়ে প্লে অফে বেঙ্গালুরু
হীরকজয়ন্তীর পর সংগঠনে মনোযোগ দেবে আ.লীগ
হীরকজয়ন্তীর পর সংগঠনে মনোযোগ দেবে আ.লীগ
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন পানীয় খাবেন? ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় কখন জরুরি?
গরমে সুস্থ থাকতে কোন কোন পানীয় খাবেন? ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় কখন জরুরি?