সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই শিথিল করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রুবিও বলেছেন, সিজার সিরিয়া সিভিলিয়ান প্রোটেকশন অ্যাক্টের কিছু ধারা শিথিল করছেন ট্রাম্প। এই আইনের আওতায় দেশটির সাবেক আসাদ সরকারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং ওই সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করা অন্য কোনও পক্ষের ওপর সেকেন্ডারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছিল ওয়াশিংটন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সিরিয়ার অর্থনীতির পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাত অন্তর্ভুক্ত করে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সাধারণ লাইসেন্স ইস্যু করতে পারে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সৌদি আরবের যুবরাজের অনুরোধে তিনি সিরিয়ার ওপর আরোপিত সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যাচ্ছেন। এই ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে এক বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনকি ট্রাম্পের নিজ প্রশাসনের অনেক সদস্যও এ ঘোষণায় বিস্মিত হন। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার আকস্মিকতায় হিমশিম খেতে শুরু করে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রুবিও বলেছেন, ১৩ বছরের যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবরকমভাবে সহায়তা করতে চান ট্রাম্প।
নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সুফল দেখা গেলে পুরো আইনই প্রতিস্থাপিত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, (আইন বাতিল বা প্রতিস্থাপন না করে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্ত নিলে) প্রতি ১৮০ দিন পর পর ছাড়পত্র নবায়ন করতে হবে। তবে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করতে পারলে, আইনটি বাতিল করার কথাও বিবেচনায় আছে। কারণ, কেউই এমন একটি দেশে বিনিয়োগ করতে চায় না, যেখানে ছয় মাস পর নিষেধাজ্ঞা আবার ফিরে আসতে পারে।