X
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নদীর প্রস্থ কমিয়ে বাড়ানো হবে কৃষি জমি

আমানুর রহমান রনি
২৮ আগস্ট ২০২১, ০৯:০০আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০২১, ১৫:০৫

দেশের বড় নদীগুলোর প্রস্থ কমিয়ে কৃষি জমি বাড়ানো ও বনায়নের কথা ভাবছে সরকার। দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীগুলো দিয়ে এমন প্রকল্প শুরু করার কথা রয়েছে। তবে এসব নদীর তীরে কোনও বসতি গড়তে দেওয়া হবে না বলেও জানা গেছে।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, বড় নদী বিশেষ কাজে আসছে না। এগুলোর প্রস্থ কমিয়ে ড্রেজিং করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখলে নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব। এতে নদীতে পলি জমার সুযোগ থাকবে না। স্রোতে সব পলি সাগরে গিয়ে পড়বে।

মূলত বন্যা হলে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেখতে পেয়েছে, উত্তরাঞ্চলের নদীর গভীরতা কম। যার কারণে পাহাড় ও ভারত থেকে আসা ঢল দেশের নদীগুলোতে উপচে পড়ে। স্রোত না থাকায় পানি গিয়ে বঙ্গোপসাগরেও পড়তে পারে না। যার কারণে দেখা দেয় বন্যা। প্লাবিত হয় তীরবর্তী এলাকাগুলো।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১৩-১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত নদীর দরকার নেই আমাদের। প্রশস্ততা কমিয়ে ৫-৭ কিলোমিটারে নিয়ে আসবো। অপরদিকে ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়ানো হবে। ওই মাটি ফেলা হবে নদীর পাড়ে। যা ব্যবহার হবে কৃষি জমি হিসেবে। এ নিয়ে গবেষণা চলছে। নদীর প্রবাহ ও পলি বঙ্গোপসাগরে পড়ার জন্য যে ধরনের গভীরতা ও স্রোত দরকার সেটাই রাখার চেষ্টা করা হবে।’

নদীর প্রস্থ কমিয়ে যে সমতল ভূমি হবে সেখানে বসতি গড়তে দেওয়া হবে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নদীর এত কাছে বসতি স্থাপন করা ঠিক নয়। একটু বন্যা হলেই বাড়িঘর তলিয়ে যায়। এজন্য প্রকল্পের কোথাও বাড়িঘর করতে দেবো না। সব কৃষি জমি হবে।’

সরকারপ্রধান নীতিগতভাবে এই প্রকল্পের অনুমতি দিয়েছেন। এখন প্রকল্পটির নকশা ও বাজেট নিয়ে গবেষণা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

২০১৮-১৯ সালের দিকে ব্রহ্মপুত্রকে ঘিরে প্রথম এমন একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কুড়িগ্রাম থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ড্রেজিং চলছে। ব্রহ্মপুত্রের কোথাও ১৫-১৬ কিলোমিটার প্রশস্ত। এটাকেও কমিয়ে ৫-৭ কিলোমিটারে আনা হবে। এরপর তিস্তা নিয়ে কাজ শুরু হবে। 

নদী, জলাভূমি ও পানিসম্পদ বিষয়ক নাগরিক সংগঠন রিভারাইন পিপলের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব শেখ রোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সরকার যদিও চাচ্ছে নদীগর্ভ থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করতে, কাজটি সহজ নয়। বিশেষত ব্রহ্মপুত্র বা যমুনার মতো বিশাল নদীর ক্ষেত্রে সমান্তরাল চ্যানেলগুলো কমিয়ে আনতে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করতে হবে। নদীটির হাইড্রোলজি, মরফোলজি, প্রতিবেশ ব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকটি নদীই কাঠামো, প্রবাহ ও প্রতিবেশগত দিক থেকে স্বতন্ত্র। নদী সুরক্ষা বা ভূমি উদ্ধার জুতার নকশার মতো নয় যে, এক মাপের জুতা অনেক পায়ে খাটবে।'

/এফএ/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় পোশাকে দুর্গন্ধ হলে করণীয়
স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় পোশাকে দুর্গন্ধ হলে করণীয়
খারকিভে রাতভর রুশ হামলায় নিহত ৩, আহত ২২
খারকিভে রাতভর রুশ হামলায় নিহত ৩, আহত ২২
ঈদগাহে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের
ঈদগাহে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের
চট্টগ্রামের ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে মুসল্লিদের ঢল
চট্টগ্রামের ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে মুসল্লিদের ঢল
সর্বাধিক পঠিত
এবার ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ৪ বিচারক
এবার ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ৪ বিচারক
বিমানযোগে ঢাকায় এলো কসাই দল
বিমানযোগে ঢাকায় এলো কসাই দল
প্রধান উপদেষ্টার শব্দ চয়ন রাজনৈতিক ভব্যতার সীমা অতিক্রম করেছে: বিএনপি
ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড়প্রধান উপদেষ্টার শব্দ চয়ন রাজনৈতিক ভব্যতার সীমা অতিক্রম করেছে: বিএনপি
সাকিবের ‘অভিযোগ’ নিয়ে তামিম বললেন, ‘ব্যাপারটা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে’
সাকিবের ‘অভিযোগ’ নিয়ে তামিম বললেন, ‘ব্যাপারটা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে’
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা