X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের ভেতর ভারতের কোস্টাল বেসলাইন

শেখ শাহরিয়ার জামান
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:৫৭আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫৬

সমুদ্র সীমানা নির্ধারণের জন্য ভারত যে কোস্টাল বেসলাইন ব্যবহার করেছে তার একটি অংশ বাংলাদেশের সীমানায় পড়েছে। দীর্ঘদিন দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের মে’তে ভারত তার সমুদ্রসীমা নির্ধারণের যে বেসলাইন ব্যবহার করেছে সেটার প্রতিবাদ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিকে ওই বছরের অক্টোবরে চিঠি দেয়। উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতকে বিষয়টি ঠিক করার অনুরোধও করা হয়। কিন্তু তা এখনও করেনি দিল্লি।

বিষয়টি আরও ঘোলাটে হয় ২০২১ সালের এপ্রিলে। যখন বাংলাদেশের নির্ধারিত বেসলাইনের বিরোধিতা করে জাতিসংঘকে চিঠি দেয় ভারত।

জাতিসংঘ মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশ জানায়, দীর্ঘদিন বাংলাদেশ বিষয়টি জাতিসংঘ ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অবহিত করেনি। কিন্তু এখন বাংলাদেশ এর বিরোধিতা করছে এবং ততদিন পর্যন্ত করতে থাকবে যতদিন না ভারত বিষয়টি ঠিক করছে এবং জাতিসংঘকে জানাচ্ছে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলা হয়, ১৯৭৬ সালে ভারত টেরিটোরিয়াল ওয়াটার ও মেরিটাইম জোন সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করে। এর ৩৩ বছর পর ২০০৯ সালে বেসলাইন নির্ধারণের জন্য সংশোধনী আনে ভারত। আগের নিয়মে নিম্ন পানি থেকে বেসলাইন নির্ধারণের বিধান থাকলেও এখন তারা স্ট্রেইটলাইন পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা আনক্লজের ৭ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

সমুদ্র তীর থেকে বেসলাইন নির্ধারণের বিধান থাকলেও ভারতের ৮৭ নম্বর বেস পয়েন্টটি তীর থেকে প্রায় ১১ নটিক্যাল মাইল দূরে। অন্যদিকে এর ৮৯ নম্বর বেস পয়েন্টের অবস্থান বাংলাদেশের জলসীমার প্রায় ২ দশমিক ৩ মাইল ভেতরে পড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খোরশেদ আলম বলেন, ভারত যেভাবে তাদের বেসলাইন নির্ধারণ করেছে, সেটি আনক্লজের ৭ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

মহীসোপানের দাবি

এদিকে গত এপ্রিলে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান নিয়ে বাংলাদেশের দাবির বিরোধিতা করে জাতিসংঘকে চিঠি দেয় ভারত। তাতে বাংলাদেশের দাবি বিবেচনা না করার জন্য জাতিসংঘকে অনুরোধ করে দিল্লি।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতের ওই চিঠির জবাবে বাংলাদেশ বলেছে, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক আরবিট্রেশন কোর্টের রায় অনুসরণ করে মহীসোপানের দাবি নির্ধারণ করেছে ঢাকা।

জাতিসংঘকে দেওয়া ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালে রায় পাওয়ার পর দুই দেশ সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে এবং গেজেটের মাধ্যমে সীমানা বিন্দু (কো-অর্ডিনেটস) কী হবে সেটা সরকারিভাবে প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিরোধ আদালত মীমাংসা করেছে। উভয়পক্ষ বিষয়টি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করার পর দুইপক্ষের মধ্যে আর কোনও বিরোধ থাকতে পারে না বলে জানানো হয় চিঠিতে।

এ বিষয়ে মো. খোরশেদ আলম বলেন, দুইপক্ষের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিরোধ জাতিসংঘের আদালতে মীমাংসা হয়েছে। এরপর অন্য কোনও দাবি জাতিসংঘের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার যৌক্তিকতা নেই।

/এফএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সংসদে উঠছে সংশোধিত সমুদ্র আইন
মহীসোপান নিয়ে মিয়ানমার ও ভারতের বিরোধিতার ভিত্তি নেই
সর্বশেষ খবর
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’