X
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
৫ চৈত্র ১৪৩০

ফেসবুকে বন্ধুত্ব, অতঃপর প্রতারণা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৪২আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:৪২

রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা হতে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে প্রতারণার ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো মো. কবির হোসেন, মো. শামসুল কবীর ও মো. ইয়াছিন আলী। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ২৫৭টি চেক বই, ডেবিট কার্ড ২৩৪টি, মোবাইল ফোন ৮টি ও ১১টি মোবাইল সিম জব্দ করা হয়। 

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে কানাডায় লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।

ফেসবুকে বন্ধুত্ব, অতঃপর প্রতারণা

তিনি বলেন, এই প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতারণা করে থাকে। এই চক্রের একটি গ্রুপ প্রথমে ভিকটিমের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে। পরে বিদেশে চাকরির অফার দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ই-মেইলে যোগাযোগ করে। চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে বিভিন্ন ফি’র বাহানায় টাকা জমা দিতে বলে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রদান করে। এমনকি ফেসবুকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উপহার পাঠানোর কথা বলে কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে ফোন করে। 

এই চক্রের দ্বিতীয় গ্রুপের কাজ হলো বিভিন্ন নামে ব্যাংক হিসাব খোলা। এসব হিসাবধারীরা কমিশনের বিনিময়ে নিজের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলতে থাকে এবং ঘন ঘন বাসা-মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে। এই চক্রের ৩য় গ্রুপ এসব ব্যাংক হিসাবধারীদের স্বাক্ষরিত চেক বইয়ের পাতা, এটিএম কার্ড এবং কার্ড পিন কুরিয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। ৪র্থ গ্রুপ প্রতিদিন ভিকটিমদের জমাকৃত টাকা চেক বা কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করে একজন ম্যানেজারের হাতে তুলে দেয়। ম্যানেজার এই টাকা তাদের কথিত বসের হাতে পৌঁছায়। এভাবেই সাপ্তাহিক বন্ধ ছাড়া প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত কবীর হোসেনের কাজ যাবতীয় অর্থ সংগ্রহ করে ম্যানেজারের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তার সহযোগী হিসাবে কাজ করে গ্রেফতারকৃত ইয়াসিন। এ ছাড়া গ্রেফতারকৃত শামসুল কবীর হলো ব্যাংক হিসাবধারী। এরা সবাই মাসিক বেতনের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্তরে কাজ করে এবং তাদের অন্য কোনও পেশা নেই বলে প্রাথমিকভাবে তারা জানায়।

/আরটি/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ম্যারেজ কাউন্সেলিং সম্পর্কে যা কিছু জানা জরুরি
ম্যারেজ কাউন্সেলিং সম্পর্কে যা কিছু জানা জরুরি
নিজ বাড়ির সামনে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নিজ বাড়ির সামনে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কয়রায় সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া
কয়রায় সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
দিন দিন নাবিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে দস্যুরা
সর্বাধিক পঠিত
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন হাথুরুসিংহে
লিটনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন হাথুরুসিংহে
পদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
একীভূত হলো দুই ব্যাংকপদ্মার গ্রাহকরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সুইডেনের রাজকন্যার জন্য দুটি হেলিপ্যাড নির্মাণ, ৫০০ স্থানে থাকবে পুলিশ
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
সঞ্চয়ী হিসাবের অর্ধকোটি টাকা লোপাট করে আত্মগোপনে পোস্ট মাস্টার
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই
‘সরলতার প্রতিমা’ খ্যাত গায়ক খালিদ আর নেই