ময়মনসিংহে স্ত্রীর সহায়তায় টানা পাঁচ মাস এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে জেলার জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির (জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন) সভাপতি হোসেন আলীকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টায় নগরীর কৃষ্টপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্তকে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। এর আগে র্যাব-১৪-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই কিশোরীর পিতা।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় হোসেন আলী ও তার স্ত্রী তামান্না বেগমকে (১৯) আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, নগরীর কৃষ্টপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকার সুবাদে প্রতিবেশী হোসেন আলী ওই কিশোরীর বাসায় আসতো এবং কথাবার্তা বলতো। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সকালে হোসেন আলীর তৃতীয় স্ত্রী তামান্না বেগম ভুক্তভোগীকে তাদের ঘরে ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেভেন-আপের সঙ্গে নেশা জাতীয় ওষুধ সেবন করায়। এতে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে হোসেন আলী। ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ করলে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার সঙ্গে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করতে বলে ধর্ষক। পরদিন (১৬ জানুয়ারি) সকালে আবারও তামান্না বেগম ওই কিশোরীকে ডেকে স্বামী হোসেন আলীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জন্য ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে বাইরে বসে পাহারা দেয়।
এভাবে টানা পাঁচ মাস ওই কিশোরীকে ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে হোসেন আলী। পরবর্তী সময়ে ঘটনাটি কিশোরী তার মাকে জানালে মান-সম্মানের ভয়ে তারা ভাড়া বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। কিন্তু ধর্ষক হোসেন আলী সেখানেও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে মেয়েকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও এজাহারে অভিযোগ করেন বাদী।
ওসি আরও জানান, সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।