X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস

‘ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটন’

চৌধুরী আকবর হোসেন
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০১আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:২২

মহামারির বিপর্যয় কাটাতে শুরু করেছে পর্যটন। ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসে বাংলাদেশেও পালন হবে নানা কর্মসূচি। এ খাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এগিয়ে যেতে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে এনেছে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও)। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের পর্যটন খাত কতটা ভূমিকা রাখতে পারবে? এমন সব প্রশ্ন ও পর্যটনের সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন-এর সঙ্গে আলাপ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

বাংলা ট্রিবিউন: দেশের প্রবৃদ্ধিতে পর্যটনের ভূমিকা এখন কতখানি? সামনে কেমন ভূমিকা রাখবে?

মাহবুব আলী: একজন পর্যটক ১০ জনের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। বিশ্বে পর্যটনই হচ্ছে একক বৃহত্তম কর্মসংস্থানভিত্তিক সেবা-শিল্প। আবার পর্যটন শিল্প শহর ও গ্রামের মাঝে বৈষম্য করে না। তাই এই শিল্পের উন্নয়ন দেশের সকল শ্রেণির মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। ২০১৯ সালে বিশ্বে ৩৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে পর্যটন শিল্প। বাংলাদেশেও প্রায় ৪০ লাখ লোক এর সঙ্গে জড়িত। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটক ছিল প্রায় এক কোটি। ২০২১ সালের শেষে দুই কোটিতে পৌঁছাবে। কোভিড ১৯-এর আগের বছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন শিল্পের অবদান ছিল ৯৫ হাজার ৭০ কোটি টাকা (৪.৩০ শতাংশ)। আশা করছি আগামীতে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতিতেও পর্যটন শিল্পের অবদান আরও বাড়বে।

গোপালগঞ্জের বিলে লাল শাপলা

বাংলা ট্রিবিউন: পর্যটনে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ বাড়াতে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে?

মাহবুব আলী: পর্যটন শিল্পে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড নানা কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—পর্যটন উন্নয়ন পরিকল্পনায় স্থানীয়দের মতামত নেওয়া, স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও পর্যটন অংশীজনদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন, স্থানীয়দের অন্তর্ভুক্ত করতে ও দক্ষতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ইত্যাদি। 

বাংলা ট্রিবিউন:  বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প এখন সার্বিকভাবে কোন অবস্থানে আছে?

মাহবুব আলী: এখন কোভিড-১৯ সংক্রমণ কমায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ পর্যটকরা আগ্রহের সঙ্গে বিভিন্ন স্পটে যাচ্ছে। যার কারণে ধীরে ধীরে দেশের পর্যটন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

বাংলা ট্রিবিউন: পর্যটন শিল্পে প্রণোদনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি কতখানি?

মাহবুব আলী: বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন উপখাতের ব্যবসায় জড়িত অংশীজনদের সহায়তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত দেড় হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এই প্রণোদনা যাতে ব্যাংক থেকে পর্যটন শিল্পের ব্যবসায়ীরা পান সেই লক্ষ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড সব ধরনের নীতিগত সহায়তা দিচ্ছে।

গোপালগঞ্জের বিলে লাল শাপলা

বাংলা ট্রিবিউন: মহামারিতে পর্যটন শিল্পের পুনরুদ্ধারে সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে?

মাহবুব আলী: বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। যেমন—পর্যটন শিল্পের ক্ষতি চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের উপায় নির্ধারণের জন্য ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন, করোনাকালীন পর্যটন শিল্প পুনরায় চালুকরণের জন্য নির্দেশিকা প্রস্তুত ও বিতরণ, পর্যটন শিল্পের অংশীজনদের প্রশিক্ষণ, ট্যুরিজম রিকভারি প্ল্যান তৈরি, এ শিল্পে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় এবং অন-এরাইভাল ভিসার আওতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া ইত্যাদি।

বাংলা ট্রিবিউন: ২০২০ সালে পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান উদ্বোধন হয়। ২০২১ সালের ৩০ জুন কাজটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। এর অগ্রগতি কতটুকু? কেমন ব্যয় হচ্ছে?

মাহবুব আলী: বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের ক্রয় প্রস্তাব ২০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদন হয়। ২৮ নভেম্বর এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দেন। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পরামর্শক  প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবাল লিমিটেড-এর সঙ্গে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী মহাপরিকল্পনাটি জুন ২০২১ তারিখে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।

মহাপরিকল্পনাটি তিনটি পর্যায়ে ১৮ (আঠারো) মাসে প্রণয়ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। সেটাকে সামনে রেখে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। তবে ২০২০ সালের মার্চ হতে মহামারির কারণে বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঢাকা ত্যাগ করায় মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন বন্ধ হয়ে যায়। পরে কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রিভাইজড ওয়ার্ক প্ল্যান, কাজের পদ্ধতি ও স্টাফিং শিডিউল দিলে কিছু সংশোধনীসহ অনুমোদন করা হয়।

বর্তমানে নতুন কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলমান। নতুন কর্মপরিকল্পনায় ডিসেম্বর ২০২২ সালে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে। ভ্যাট ও আইটিসহ চুক্তি মূল্য প্রায় ২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

বাংলা ট্রিবিউন: করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অনেক দেশেই বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের উন্মুক্ত করেছে। বাংলাদেশে কবে নাগাদ উমুক্ত করবে।

মাহবুব আলী: বিদেশি পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প উন্মুক্ত আছে। কেবিনেট ডিভিশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রস্তুতকৃত এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) অনুসরণ করে বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশের আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

বাংলা ট্রিবিউন: পর্যটন করপোরেশন একটি সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সামগ্রিকভাবে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে?

মাহবুব আলী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অবকাঠামোগত এবং পরিচালন উন্নয়ন ও সংস্কারকাজ চলমান রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে করপোরেশনের পরিচালন ও সেবা প্রদানের আঙ্গিকে নানা পরিবর্তন এসেছে, চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এর সেবা আধুনিকায়ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও ঐকান্তিক ইচ্ছায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ঢাকার শেরেবাংলা নগরে নিজস্ব মালিকানাধীন অত্যাধুনিক পর্যটন ভবন পেয়েছে। 

করপোরেশনের হোটেল-মোটেলগুলোর অনলাইন বুকিং সিস্টেম চালু হয়েছে। ঢাকার তেজগাঁওয়ে হোটেল অবকাশ এবং ন্যাশনাল হোটেল ও ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনের সংস্কারকাজও শেষের দিকে।

এ ছাড়াও চট্টগ্রামের পারকি, বাগেরহাট, গাজীপুরের শালনা, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সিলেটের লালাখাল, কুমিল্লা, নাটোর, নেত্রকোনার বিজয়পুর, শেরপুরের গজনী ও নারায়ণগঞ্জের বারদিতে পর্যটন সুবিধা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অধীনে হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ নির্মাণের কাজ চলছে।

বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডকে শক্তিশালী সংস্থায় রূপান্তরে কী ব্যবস্থা নেবেন?

মাহবুব আলী: প্রতিষ্ঠার পর হতে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আন্তরিকভাবে কাজ করছে। একে শক্তিশালী সংস্থায় রূপান্তরে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজও চলছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের জনবল বৃদ্ধির কার্যক্রম ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আইন ২০১০ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ।

বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের  কর্মপরিধি ব্যাপক। জনবল বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে?

মাহবুব আলী: বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের জনবল বৃদ্ধির কাজও চলছে। ইতোমধ্যে ১৩টি নতুন পদ তৈরি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘ডিসট্রিক্ট ট্যুরিজম সেল’ গঠন করে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা সহকারি কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

বাংলা ট্রিবিউন: নদী ও হাওড়কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রায়ই পানিতে ডুবে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ঝূঁকিপুর্ণ স্পটে পর্যটকদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারের ব্যবস্থাও নেই। এর জন্য কোনও ব্যবস্থা নেবেন কি?

মাহবুব আলী: কোনও পর্যটন কেন্দ্রে দুর্ঘটনার কারণে কারও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমাদের বেশি ব্যথিত করে। পর্যটন কেন্দ্রে দুর্ঘটনা রোধে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাগর, নদী ও হাওরগুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সাইনেজ দেওয়া হচ্ছে।  পর্যটক ও স্থানীয় জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করার জন্য কার্যক্রম চলছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয়দেরও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ সবের পাশাপাশি পর্যটকদেরও সচেতন ও সতর্ক থাকতে অনুরোধ করবো।

বাংলা ট্রিবিউন: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। বৃহৎ এ সৈকতকে ঘিরে সরকারের নানা পরিকল্পনা ও বরাদ্দ আছে। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতটিতে পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট নেই। নেই গোসলের ব্যবস্থাও। মূল্যবান জিনিসপত্র রাখার লকারও অন্তত কম। এসব সুবিধা সৃষ্টি করতে জটিলতা কোথায়?

মাহবুব আলী: কক্সবাজারের বিচ এলাকায় পর্যটকদের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তার ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের জন্য ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টারে পর্যটকদের মূল্যবান জিনিসপত্র রাখার জন্য লকারের ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া টয়লেট, গোসল ও কাপড় পরিবর্তন রুমের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

বাংলা ট্রিবিউন: কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ সেখানে কোথাও পার্কিং জোন নেই, বসার ব্যবস্থা নেই, রেস্তোরাঁও নেই। এ সড়কে পর্যটকবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কোনও উদ্যোগ কি নেওয়া হবে?

মাহবুব আলী: ৮০ কিলোমিটারের মেরিন ড্রাইভের আশাপাশের এলাকা পর্যটন উন্নয়নের জন্য একটি স্ট্রাকচারাল প্ল্যান তৈরি করা হবে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বাংলা ট্রিবিউন: প্রাকৃতিক পরিবেশে অনেক স্থানে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা, উচ্চশব্দে গান বাজানো, প্লাস্টিক বর্জ্য, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয় কী উদ্যোগ নিচ্ছে?

মাহবুব আলী: পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং টেকসই পর্যটন উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যটকদের সচেতন করতে গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একটি কর্মপরিকল্পনাও করা হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যটন স্পটগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি করা হয়েছে।

/এফএ/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় প্রকাশ