লালন সাঁইজির ১৩১তম তিরোধান দিবসে সম্মাননা স্মারক পাচ্ছেন সাত জন লালন গবেষক ও সাধক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ।
তিনি জানান, লালন গবেষণা ও সাধনায় বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রথমবারের মতো সাত জন গবেষক ও সাধককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে লালন গবেষণায় সম্মাননা পাচ্ছেন অধ্যাপক ড. আবুল আহসান চৌধুরী ও অধ্যাপক ড. শক্তিনাথ ঝা (ভারত)। লালন সাধনায় সম্মাননা পাচ্ছেন পার্বতী দাস বাউল (ভারত), ফকির মোহাম্মদ আলী শাহ (কুষ্টিয়া), ফকির আজমল শাহ্ (ফরিদপুর), নিজাম উদ্দিন লালনী (মাগুরা) ও শুরু বালা রায় (ঠাকুরগাঁও)। সম্মাননা স্মারক হিসেবে প্রত্যেকে পাচ্ছেন একটি করে ক্রেস্ট, স্মারকপত্র ও পঁচিশ হাজার টাকা।
২০১৯ সাল থেকে প্রতিমাসের পূর্ণিমা তিথিতে ‘সাধুমেলা’ আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ১৬ অক্টোবর লালন সাঁইজির ১৩১তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে লালন স্মরণোৎসব ও সাধুমেলার ৩১তম আসর আয়োজন করা হচ্ছে। এই আয়োজনের মঞ্চেই সাত জন লালন গবেষক ও সাধক সম্মানিত হবেন।
মানবতার মহান সাধক ফকির লালন সাঁই ১৭৭৪ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার চাপাড়া ভাড়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সাধক, দার্শনিক ও মানবতাবাদী কবি ছিলেন। তার মর্মস্পর্শী পদাবলি বাংলার সহজ-সরলমনা সংগীতপ্রেমীদের আত্মার খোরাক। দেশে ও দেশের বাইরে মুক্তিকামী অসংখ্য মানুষ লালন ফকিরের ভাববাণীকে নিজ জীবনের ভাবাদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ফকির লালন সাঁইজির অবদান মূল্যায়ন এবং জাতীয় পর্যায়ে এই মহৎ পদকর্তার সংগীত ভাণ্ডারকে আরও জনপ্রিয় ও লোকগ্রাহ্য করে তার আলোকে জীবন ও সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সাধুমেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা, পরিকল্পনায় প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১৬ অক্টোবর বিকাল ৫টায় একাডেমির বাউলকুঞ্জে লালন সাঁইজির ১৩১তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমির সচিব মো. আছাদুজ্জামান। আলোচনা করবেন ফকির নহীর শাহ ও দেবোরাহ জান্নাত।