দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’র প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ ও বিক্ষোভ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে বিক্ষোভ থেকে সরে আসার পর থেকে ওই এলাকায় যান চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। তাদের সঙ্গে সম দাবি জানিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন জেলার সনাতন ধর্মালম্বীরা।
আন্দোলনে হাজির হয়ে গাজীপুর জেলার হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক রঘুনাথ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অনেক হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোনও ঘটনার বিচার হয়নি। আগে যদি বিচার হতো তাহলে নতুন এসব ঘটনা ঘটতো না। তবে যত হামলাই হোক না কেন, আমরা বাংলাদেশ ছাড়বো না। এ দেশেই থাকবো। তবে সরকারকে সাম্প্রতিক সব হামলার বিচার করতে হবে।’
লিরা রানী মোহন্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিটি হামলায় আমরা নারী-শিশুরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা চাইবো, সরকার আমাদের ওপর সব হামলার দ্রুত বিচার করবে।’
কেশব পাল বলেন, ‘আমাদের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার শেষ কোথায়? দ্রুত তদন্ত করে কেন বিচার করা হচ্ছে না? স্বাধীন বাংলাদেশে আমরাও মিলেমিশে বসবাস করতে চাই। সে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এখানে সমবেত হয়েছি।’
শাহবাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. শহীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দুপুর আড়াইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা এখানকার সড়ক থেকে চলে যান। এর আগে তারা নিজেদের কিছু দাবি আদায়ের জন্য শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করেছিলেন। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’