বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের খাউলিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) নবনির্বাচিত ইউপি মেম্বার বিটুল বিশ্বাসকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পরে প্রতিপক্ষের ওপর মারপিট, হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত দু দিনে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের কর্মীদের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, বুধবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে খাউলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বরিশাল গ্রামের বিজয়ী মেম্বর প্রার্থী বিটুল বিশ্বাস এবং তার কর্মীরা পরাজিত প্রার্থী চানমিয়া হাওলাদারের কর্মী দিনমজুর রহিম কাজী, আসাদ কাজী, কবির কাজী, সালমান কাজী ও আমির আলী তালুকদারকে মারপিট করেন। তাদের মধ্যে গুরুতর জখম রহিম কাজীকে মোড়েলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একই দিনে আমতলী গ্রামের পরাজিত মেম্বর প্রার্থী নাজির গাজীর কর্মীরা প্রতিপক্ষের আব্দুর রহমান মাঝিকে হাতুড়িপেটা করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন। এ দিন রাত ৮টার দিকে পশুরবুনিয়া গ্রামের বিজয়ী প্রার্থী মশিউর রহমানের কর্মীরা প্রতিপক্ষের কর্মী জালাল শেখকে (৬৫) পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠান।
পশ্চিম খাউলিয়া গ্রামে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সন্দেহে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে ইউনিয়ন তাঁতি লীগ সাধারণ সম্পাদক মাসুদ শেখকে। এ ছাড়া পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল হাই খান তার অনেক কর্মী বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মণ্ডল বলেন, ‘খাউলিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পেয়েছি। একটি ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি বিজয়ী প্রার্থী বিটুল বিশ্বাসকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’