দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত আরও ১২টি দেশে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত যেসব আক্রান্ত পাওয়া গেছে তাদের বেশিরভাগেরই আফ্রিকার দেশে এবং অন্যান্য স্থানে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে।
মারাত্মক উদ্বেগ তৈরি করা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তরা নিজ নিজ দেশে পৌঁছেও বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেছেন। ফলে এই ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ইসরায়েলের কথা। দেশটিতে যে ব্যক্তির ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছেন তিনি আফ্রিকার মালাউয়ি থেকে ফিরে বাসে তেল আবিব ভ্রমণ করেছেন। আবার ইতালিতে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হওয়ার আগেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা: গত সপ্তাহের মধ্যভাগে দেশটির গৌতেং প্রদেশে নতুন আক্রান্ত এক হাজার একশ’ জনের মধ্যে ৯০ শতাংশই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
বতসোয়ানা: অন্তত ১৯ জনের শনাক্ত হয়েছে।
যুক্তরাজ্য: অন্তত তিন জনের শনাক্ত হয়েছে। তাদের দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে।
জার্মানি: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মিউনিখ বিমানবন্দরে পৌঁছানো দুই জনের ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে।
নেদারল্যান্ডস: ১৩ জনের শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক জন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন।
ডেনমার্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাওয়া দুই জনের শনাক্ত হয়েছে।
বেলজিয়াম: এক জন শনাক্ত
ইসরায়েল: একজন নিশ্চিত শনাক্ত, আর অপর জন সন্দেহভাজন।
ইতালি: সারা দেশ ঘুরে বেড়ানোর পর এক জনের শনাক্ত।
চেক রিপাবলিক: এক জন শনাক্ত
হংকং: কোয়ারেন্টিন হোটেলে থাকা দুই জন।
অস্ট্রেলিয়া: নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে দুই জন আক্রান্ত। উভয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন।
কানাডা: দুই জন শনাক্ত। তারা সম্প্রতি নাইজেরিয়া ভ্রমণ করেছেন।