পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার আহ্বান জিডব্লিউটিইউসি’র

গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র

আশুলিয়ার ৫৫টি বন্ধ পোশাক কারখানা খুলে দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মজুরি বৃদ্ধির ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (জিডব্লিউটিইউসি)। বুধবার সংগঠনটির প্রধান কার্যালয় থেকে বাংলা ট্রিবিউনে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ’র প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়।

দফতর সম্পাদক এম.এ. শাহীন স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিজিএমইএ ঘোষণা অনুযায়ী আশুলিয়ার ৫৫টি কারখানা বন্ধ করায় এক যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জিডব্লিউটিইউসি’র সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন।   

জিডব্লিউটিইউসি নেতারা মনে করেন, শ্রমিকদের দুঃখ-কষ্টকে বিবেচনায় না এনে শ্রমিকদের উত্থাপিত মজুরি বৃদ্ধির দাবি সম্পর্কে কোনও প্রকার আলোচনা না করে কারখানা বন্ধ করার এমন সিদ্ধান্ত শিল্পের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।

নেতারা বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিম্নতম মূল মজুরি দশ হাজার (১০,০০০/-) টাকা ও মোট মজুরি ষোল হাজার (১৬,০০০/-) টাকা নির্ধারণের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যুক্তিযুক্ত সমাধানে এসে বন্ধ করা সব কারখানা খুলে দিতে হবে।

এর আগে, সাভারের আশুলিয়ার ৫৫টি তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারী ও রফতানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ)। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজিএমইএ সভাকক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী এ ঘোষণা দেওয়ায় এ সময়ে শ্রমিকরা কোনও মজুরি পাবেন না বলে জানান তিনি।

/এইচকে/