নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন এফবিসিসিআই

এফবিসিসিআইচার লাখ ২২৬ কোটি টাকার বিশাল বাজেট বাস্তবায়নে অর্থমন্ত্রী রাজস্ব আদায়ের যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তা চ্যালেঞ্জ বলছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। নতুন ভ্যাট আইন নিয়েও উদ্বিগ্ন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হচ্ছে। ভ্যাটের বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মহল সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তায়নের পূর্বে আইনের কতিপয় বিষয় সংশোধনের জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু বাজেটে সম্পূর্ণ না হলেও কিছুটা এসবের প্রতিফলন আমরা লক্ষ্য করেছি।’

ব্যাংকে অর্থ জমা রাখার ক্ষেত্রে আবগারী শুল্ক বৃদ্ধি না করে পূর্ববর্তী অবস্থায় রাখার প্রস্তাব দিয়ে মহীউদ্দিন বলেন, ‘এতে আমানতকারী আমানত রাখতে নিরুৎসাহী হবে। এছাডা ব্যাংকিং চ্যানেলে না গিয়ে ইনফরমাল চ্যানেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়।’ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঘাটতি মোকাবিলায় ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণের পরিকল্পনা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমিয়ে দেবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিআই সভাপতি বলেন, ‘জাতীয় অর্থনীতির দুটি মূল উৎস রফতানি ও রেমিট্যান্স-এর প্রবৃদ্ধি বর্তমানে নিম্নমুখী। এছাড়াও সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষি ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায়ের এই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’

এফবিসিসিআই জানিয়েছে, ‘বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য সরকারের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। অভ্যন্তরীণ ঋণ ব্যবস্থা থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা (ব্যাংক ব্যবস্থা ২৮ হাজার ২০৩ কোটি টাকা এবং জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প থেকে ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা) নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যাংকখাতের ওপর নির্ভরশীলতা উৎপাদনশীল খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’

তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বাজেটে নির্ধারণ করা লক্ষ্যমাত্রা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান প্রক্রিয়া গতিশীল হবে বলেও আশা করছে এফবিসিসিআই।

/জিএম/এসএমএ/