প্লাস্টিক খাতকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি (ছবি: ফোকাস বাংলা)বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের প্লাস্টিক খাতকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। প্লাস্টিক বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় খাত। দেশে ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্লাস্টিকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

রবিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার রেডিসন হোটেলে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েমন আয়োজিত ১৪তম ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক, প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

চার দিনের এ মেলায় বিশ্বের ১৯টি দেশের ৪৬০টি কোম্পানির ৭৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির পরিমাণ ৬ দশমিক ৫ ভাগ।

টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশের তৈরি পোশাকসহ অনেক শিল্প কারখানায় প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য আমদানি করতে হতো। দেশে এখন প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে এবং বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন খাতের মাধ্যমে প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হচ্ছে ৩ হাজার কোটি টাকা এবং সরাসরি রফতানি হচ্ছে ১ হাজার কোটি টাকা। রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। এ খাতে ১২ লাখের বেশি মানুষ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। দেশের প্লাস্টিক সেক্টরকে সরকার গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হিসেবে বিবেচনা করছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্লাস্টিক খাতকে গতিশীল করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। এখন প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে ১০ ভাগ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দেশে এ মুহূর্তে মাথাপিছু ৫ থেকে ৭ কেজি প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহ্যত হচ্ছে, আগামী ২০৩০ সালে এ ব্যবহারের পরিমাণ ৩৫ কেজিতে দাঁড়াবে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।’

বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লুনা প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম কামাল উদ্দিন, ওয়ার্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের প্রেসিডেন্ট জুডি ওয়াং, স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।