পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট: পাটমন্ত্রী

পাট খাতের সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকপণ্যে ‘পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ শতভাগ ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি জানান, দেশে ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রফতানি বাড়ানো, দেশের ভেতরে পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়ানো, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার সচেষ্ট।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাট খাতের সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, বিজেএমসির চেয়ারম্যান শাহ মো. নাসিম, জেডিপিসি নির্বাহী পরিচালক রিনা পারভীনসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতি ধারণ ও পরিবেশবান্ধব পাটজাত সামগ্রীর ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে সরকার পাটের সুদিন ফিরিয়ে এনেছে। এই খাতের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সরকার সজাগ রয়েছে। একইসঙ্গে সরকার পাট খাতের বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধানে সচেষ্ট।’

মন্ত্রণালয় নিয়ে আশাবাদ জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী ও উন্নত জাতিতে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে অন্য খাতগুলোর পাশাপাশি এই খাতকেও এগিয়ে নিতে কাজ করছে। সরকারের নীতিমালা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা ও কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে পাটখাত দেশের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।’

বৈঠকে পাটখাতের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।