‘ইসলামি ব্যাংকিংয়ের পরিসর বাড়লেও দক্ষ জনবল কম’



৩৩৩৩ইসলামি ব্যাংকিংয়ের পরিসর অনেক বেড়েছে এবং প্রচলিত অনেক ব্যাংকের তুলনায় ভালো করছে। তবে সে তুলনায় দক্ষ জনবল না থাকায় সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ইসলামিক ব্যাংকিং অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস. এম. মনিরুজ্জামান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম-এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এবং অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর।
ইসলামিক ব্যাংকিং সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিশেষ সার্টিফিকেশন কোর্স চালু করতে কর্মশালায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এস. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। সব ধরনের কমপ্লায়েন্স বজায় রেখে এবং শরিয়াহর মূল নীতি বজায় রেখে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’

‘ইসলামি ব্যাংকিং সর্বজনীন ব্যাংকিং’
পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘ইসলামি ব্যাংকিং সর্বজনীন ব্যাংকিং। পুরো বিশ্বে ইসলামি ব্যাংকিং সমাদৃত। ইসলামি ব্যাংকিং হলো সম্পদভিত্তিক অর্থনীতি। সেন্ট্রাল শরিয়াহ কাউন্সিল মেনে নিয়ে ইসলামি ব্যাংকিং পরিচালনা করতে হবে।’
এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া বলেন, ‘ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শরিয়াহ পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। এখানে আংশিক পরিপালনের সুযোগ নেই।’ তিনি ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ‘ইসলামি ব্যাংকিং এখন ধর্মীয় বিষয়ের মধ্যে আবদ্ধ নেই। অনেক বিদেশি ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে সাফল্য পেয়েছে। সুতরাং দক্ষতার সঙ্গে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের সুযোগ রয়েছে।’