এসব গাইডলাইন দিয়ে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় থকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো গাইডলাইনে আরও বলা হয়, সংকটকাল তথা এপ্রিল, মে ও জুন এই তিন মাসে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা এ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান রফতানির সঙ্গে যুক্ত নয়, তারা এ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য যোগ্য হবে না। তহবিলের এ টাকা চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের বাজেট থেকে ব্যয় করা হবে। এ জন্য বাজেটে পৃথক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই অর্থ বিতরণ করা হবে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিমালা চূড়ান্ত করবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে গত সোমবার অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত তহবিল গঠনের সবকিছু চূড়ান্ত করলেও সোমবারই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেনি অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশেই প্যাকেজটি আরও যাচাই-বাছাই করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংককেই নীতিমালা করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশসহ নীতিমালা চূড়ান্ত করার পর অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যমতে তৈরি পোশাক খাতের এক হাজার ৪৮টি শিল্পকারখানার ২৪ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা বা ২৮৭ কোটি মার্কিন ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। এসব অর্ডারের বিপরীতে প্রায় ৯১ কোটি পিস পোশাক তৈরি হতো।
এ জন্য এসব কারখানার বিপরীতে ২০ লাখ শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প, ফুটওয়্যার, বাইসাইকেলসহ অনেক রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস দেখা দেওয়ার প্রভাবে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।