আজ বুধবার (৮ জুলাই) বিকালে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিইআরসি সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বিইআরসি এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করতে পারে।
প্রসঙ্গত, আগে বিদ্যুৎ বিভাগ মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলে বিলম্ব মাশুল মওকুফ করে। এরপর মৌখিকভাবে বলা হয় ৩০ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ করলে বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না। এখন জুন মাসের বিলও জরিমানা ছাড়া দিতে পারবেন গ্রাহক। জুলাই মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এই ছাড় পাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা জানান, আমরাও অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে দ্রুত অতিরিক্ত বিল যাদের এসেছে তাদের বিল ঠিক করে দিতে বলা হয়েছে। এ কারণে অনেক গ্রাহক এখনও সব বিল দিতে পারেননি। তাদের কথা বিবেচনা করে এই সময় বাড়ানো হচ্ছে। ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছাড় পাবেন। যদিও ৩১ জুলাই শুক্রবার। সে হিসেবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকে বিল বিলম্ব মাশুল ছাড়া জমা দিতে পারবেন। এরপর কেউ চাইলে পরদিন অনলাইনে বিকাশ বা অন্য মাধ্যমেও বিল পরিশোধের সুযোগ পাবেন। তিনি জানান, বিইআরসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন বিইআরসি আদেশ দেবে।
এদিকে বিইআরসির একজন ঊর্ধ্বতন কমকর্তা জানান, তারা বিকালে বিদ্যুৎ বিভাগের চিঠি পেয়েছেন। এখন চিঠি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, আমরা মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিলম্ব মাসুল মওকুফ করেছিলাম। এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তা বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়। অর্থাৎ মে মাসের বিল জরিমানা ছাড়া দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এবার জুন মাসের বিলের ক্ষেত্রেও এই ছাড় দেওয়া হবে। সে হিসেবে গ্রাহক ৩১ জুলাই পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া বিল দিতে পারবেন।
জানতে চাইলে আব্দুল জলিল মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার কথা জানালেও শেষ বিকালে আসায় সেই চিঠির বিষয়বস্তু জানাতে পারেননি।
এর আগে গত ২২ মার্চ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরিন পারভিস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পযন্ত বিলম্ব মাশুল প্রয়োজন হবে না। গ্রাহক মে মাসে বিলম্ব মাশুল ছাড়াই বিল পরিশোধ করতে পারবেন। তবে বিতরণ কোম্পানির ভুতুড়ে বিলে অভিযোগ ওঠায় মৌখিকভাবে বিলম্ব মাশুল ছাড়াই জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ করার আদেশ দেওয়া হয়।
তবে এখতিয়ার অনুযায়ী বিলম্ব মাশুল মওকুফের জন্য বিইআরসি বরাবর আবেদন করতে হয়। মন্ত্রণালয় আজ সেই আবেদনটি পাঠিয়েছে।
এর আগে বিইআরসি চেয়ারম্যান বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন, আমাদের সঙ্গে বিলম্ব মাশুল মওকুফের বিষয়ে কথা হয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলো আবেদন নিয়ে আসলেই আমরা বিলম্ব মাশুল মওকুফ করে দেবো।
আরও পড়ুন-
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: বিইআরসি সরব হবে ১৫ জুলাইয়ের পর
ডিপিডিসির ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত, ৩৬টি এনওসি'র প্রকৌশলীকে শোকজ
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলো আরও তিন প্রতিষ্ঠান