আবারও বন্ধ চীনা পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজারে ধস নামায় হতাশ এক চীনা বিনিয়োগকারীডলারের বিপরীতে ইউয়ানের দামে ধস নামায় চীনের পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে । ধস ঠেকাতে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লেনদেন।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে আজ বৃহস্পতিবার বলা হয়, দেশটির প্রধান পুঁজিবাজার সাংহাইয়ের কম্পোজিট সূচক ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৩১১৫ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট নেমে আসে। অপরদিকে প্রযুক্তিখাত ভিত্তিক বাজার শেনজেনের কম্পোজিট সূচক কমেছে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ পয়েন্ট।
এহেন পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় দিনের মতো চীনের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা চায়না সিকিউরিটিজ রেগুলেটরি কমিশন লেনদেন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
পাশাপাশি সংস্থাটি ঘোষণা দিয়েছে, ৯ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী তিন মাস বড় বড় বিনিয়োগকারীরা একক কোনও কোম্পানির শেয়ার ১ শতাংশের বেশি বিক্রি করতে পারবে না।

তবে এ ধরনের হস্তক্ষেপকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, শুধু পুঁজিবাজারের দরপতন ঠেকাতে এ ধরনের নীতি গ্রহণ করেছে বেইজিং।

নতুন নিয়ম বা সার্কিট ব্রেকার আইন অনুসারে, মূল্য সূচকের পতন ৭ শতাংশের বেশি হলে কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ করে দিতে পারবে।

গত সোমবার সাংহাই কম্পোজিট সূচক ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং শেনজেন কম্পোজিট সূচক ৮ শতাংশ কমায় লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।

ওই দিনই লেনদেন শুরু হওয়ার পর সূচকের ৫ শতাংশ দরপতন ঘটায় পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণায় আগেও ১৫ মিনিটের জন্য পুঁজিবাজার বন্ধ বা হল্টেড রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।

চীনের পুঁজিবাজার বন্ধ থাকার ঘটনার প্রভাব পশ্চিমের পুঁজিবাজারগুলোতেও পড়েছে। লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে দেড় শতাংশের বেশি কমেছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের ডাও জোনস ও এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচক ।

মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পুঁজিবাজারের লোকসান ঠেকাতে বিনিয়োগকারীরা বিক্রি বাড়িয়ে দেন। ফলে অধিকাংশ সূচক ছিল নিম্নমুখী।

এদিকে ইউয়ানের দাম কমায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাজারেও। ডলারের দর বাড়ায় পণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছেন ভোক্তারা।  

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিপলস ব্যাংক অব চায়না প্রতি ডলারের বিপরীতে ৬ দশমিক ৫৬ ইউয়ানের মধ্যপয়েন্ট হিসেবে নির্ধারণ করেছে। ২০১১ সালের মার্চের পর এটি ইউয়ানের সবচেয়ে দুর্বল অবস্থা।

/এফএইচ/

আরও পড়ুন: ধস ঠেকাতে মাঝপথেই চীনা পুঁজিবাজার বন্ধ