প্রবাসী আয়ের বিপরীতে বাড়ছে প্রণোদনা

মহামারি করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আর এই প্রবাসী আয়ের ওপর ভিত্তি করেই দেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। শুধু তা-ই নয়, প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রেখেছে। এই প্রবাসী আয় যাতে আরও বাড়ে সেজন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে বৈধ পথে প্রবাসী আয়ের (রেমিট্যান্স) বিপরীতে নগদ প্রণোদনা ১ শতাংশ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে এনবিআরের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের বিপরীতে প্রণোদনা ৩ শতাংশ করা হতে পারে। এজন্য প্রবাসী আয়ের বিপরীতে প্রণোদনা বাবদ ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হচ্ছে, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো।

চলতি অর্থবছরে দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আনার বিষয়টি উৎসাহিত করতে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছিল।

প্রসঙ্গত, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও বিভিন্ন সংস্থাকে ঋণ দেওয়ার জন্য ৪৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। এই বরাদ্দ বাজেটের প্রায় ৮ শতাংশের সমান।

বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, প্রবাসী আয় ছাড়া বাকি সব খাতে আগের মতোই ভর্তুকির বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, কৃষি খাতে আগামী অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরেও একই পরিমাণ ভর্তুকি রাখা হয়েছিল।

ভর্তুকিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বিদ্যুৎ খাত। এই খাতে চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও ভর্তুকি বরাদ্দ থাকছে ৯ হাজার কোটি টাকার মতো। এলএনজি খাতেও ভর্তুকি রাখা হচ্ছে চলতি অর্থবছরের মতোই ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরে খাদ্যে ভর্তুকি রাখা হচ্ছে ৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরেও খাদ্যে এ রকম ভর্তুকি ছিল।

সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ঋণের সুদ পরিশোধে ভর্তুকি বাবদ চলতি অর্থবছরে  দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। আগামী অর্থবছরেও এই খাতে একই পরিমাণ ভর্তুকি থাকছে। পাট ও পাটজাত পণ্যে সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেই ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। আগামী অর্থবছরেও থাকছে একই ভর্তুকি।

রফতানি খাতে নতুন অর্থবছরে প্রণোদনা থাকছে ১০ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার মতো।