নতুন মুদ্রানীতি গতানুগতিক ধারার: ঢাকা চেম্বার

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত ২০২১-২২ অর্থবছরের  মুদ্রানীতিকে গতানুগতিক ধারার বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতির বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করে সংগঠনটি। 

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ডিসিসিআই জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত মুদ্রানীতি কিছুটা গতানুগতিক ও ধারাবাহিক। এ নীতিতে বেসরকারি খাতকে উজ্জীবিত করতে উদ্ভাবনী কোনও পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। যদিও সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যকার সমন্বয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাদের কার্যক্রমের নজরদারি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে নতুন মুদ্রানীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

সংবাদ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২২ সাল নাগাদ সরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩২.৬ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ধরা হয়েছে ১৪.৮ শতাংশ, যা কিছুটা আশাবাদী। কোভিডের কারণে আশানুরূপ বিনিয়োগ হচ্ছে না বিধায় ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদি সামগ্রিক অর্থনীতি এবং বেসরকারি খাত ঘুরে দাঁড়াতে না পারে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে।
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিনিয়োগের রিটার্ন অথবা সঞ্চয়পত্র, পোস্টাল সেভিংস এবং পেনশনার সেভিংস সার্টিফিকেট প্রভৃতির ক্ষেত্রে প্রদেয় সুদের হার যৌক্তিক হারে ব্যাংকিং ইনস্ট্রুমেন্ট যেমন : এফডিআরের ন্যায় ব্যাংক প্রদত্ত সুদের হারের সঙ্গে বা বন্ডের রিটার্নের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কিছুটা কমানো যেতে পারে। তবে এ বিষয়ক কোনও নির্দেশনা মুদ্রানীতিতে প্রতীয়মান হয়নি বলে মনে করে ডিসিসিআই।

ঢাকা চেম্বার বলছে, সিএমএসএমই খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে আর্থিক প্রণোদনাসহ অনেক ধরনের নীতি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রদত্ত সুবিধাদি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা বা রোডম্যাপ প্রদান করা হয়নি। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হারের বিষয়টি তেমন উদ্বেগজনক নয়, তবে অনেক ক্ষেত্রে টাকার মানের এ হার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারের কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।