নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নেপাল বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর নেপালে বেড়ানে যান। দেশটির হাইড্রোলিক পাওয়ার প্ল্যান্টে উৎপাদিত প্রায় পাঁচশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ফলে যোগাযোগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।’

বুধবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘানশ্যাম ভান্ডারির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নেপালের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্যপণ্য, পেপার এবং পেপার বন্ড, পাটজাত পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেকট্রনিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক সুবিধা সৃষ্টি এবং সফর বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম হলেও এই বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য নেপালে রফতানি করেছে। একই সময়ে ৪.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। উভয় দেশ উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ফলে যোগাযোগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।’

নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘানশ্যাম ভান্ডারি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নেপাল সফর করেন। উভয় দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালুর ফলে এতে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। বিশেষ করে মোংলা, বাংলাবান্ধা ও বেনাপোল বন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ ও লাভজনক হবে। পদ্মা সেতুর সুফল পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেপালের সক্ষমতা খুবই কম। পণ্যের শুল্কায়ন সহজ হলে বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি গঠন করে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করে তোলা সম্ভব।’

বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট সইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। নেপাল এই বিষয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।