পরিবেশ দূষণকারী কোম্পানির ওপর কর আরোপের সুপারিশ সিপিডির

পরিবেশ দূষণকারী কোম্পানিগুলোর ওপর আলাদা কর আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বুধবার (১০ মার্চ) প্রাক-বাজেট আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এই পরামর্শ দিয়েছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটস মুনতাসির কামাল।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এনবিআর কর নীতি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, শুল্ক নীতির সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া এবং ভ্যাট নীতির সদস্য মাসুদ সাদিক উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় আরও অংশ নেয় বৈশ্বিক পেশাজীবী সেবা প্রতিষ্ঠান প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস প্রাইভেট লিমিটেড (পিডব্লিউসি) বাংলাদেশ।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় মুনতাসির কামাল বৈদেশিক বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে দেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল কার্যকর করতে হবে। ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল যদি কার্যকর হয় তাহলে মানি লন্ডারিংয়ের সুযোগ কমে আসবে। মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলে অর্থপাচারের প্রবণতাও কমে আসবে।’

সিপিডির এই প্রতিনিধি বলেন, ‘করোনা মহামারি থেকে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে কর সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, তা আরও এক বছর বহাল রাখা উচিত।’

প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপারস প্রাইভেট লিমিটেড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদ বলেন, ‘যেসব বৈদেশিক কোম্পানি অস্থায়ী ভিত্তিতে বাংলাদেশে এসে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাদের ওপর করারোপের ব্যবস্থা করতে হবে।’

এছাড়া দেশে ডিজিটাল সিস্টেমের উন্নয়নের স্বার্থে যেসব তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে, গত অর্থবছর পর্যন্ত তাদের ওপর কর ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে তাদের ওপর করারোপ করা হয়েছে। দেশের ডিজিটাল উন্নয়নের স্বার্থে  আগামী বাজেটে তাদেরকে কর অব্যাহতি দেওয়া হোক।’

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ে আমরা এখনও  প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে রয়েছি।  ভ্যাট, ট্যাক্স আদায় বাড়ানোর জন্য সব ধরনের কর আদায়ে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করার চেষ্টা করছি। এমনকি আমরা হোল্ডিং ট্যাক্সও ডিজিটাল সিস্টেমে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।’