‘বেশিরভাগ কনটেইনারে ছিল রফতানির পোশাক’

কোভিড মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ; এরমধ্যে আবার সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণ। পোশাক শিল্পের জন্য এগুলো বড় আঘাত। এমনটা বলেছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। সোমবার (১৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফারুক হাসান বলেন, আমরা যখন ইউরোপে অ্যাপারেল ডিপ্লোমেসির কাজে ব্যস্ত, তখনই ঘটে ভয়ংকর এ দুর্ঘটনা। পুড়ে যাওয়া বেশিরভাগ কনটেইনারে ছিল রফতানির পোশাক। যা একেবারে তৈরিই ছিল। এতে আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে ভাবমূর্তির।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঘটনার পরদিন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালকরা দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী ও বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

একই দিনে তারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রথম ধাপে হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে জরুরি চিকিৎসা ও খাদ্য বিতরণ করেন।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য চট্টগ্রামে বিজিএমইএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, ডিপোতে পুড়ে যাওয়া কনটেইনারে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কোন কারখানার কী পরিমাণ পোশাক ছিল, তা জানতে চেয়ে সদস্যদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫৫-এর বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পেয়েছি। শুল্ক মওকুফের জন্য বন্ড কমিশনারেটের কাছে আবেদন জানানোর কথা বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়া কনটেইনারে নামিদামি কিছু ব্র্যান্ডের পণ্য ছিল। রফতানি চুক্তি অনুযায়ী ডিপোতে রক্ষিত পণ্য সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডগুলো বুঝে নিয়েছিলেন। এরপর পর সব দায় ক্রেতার। ইতোমধ্যে এক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিনষ্ট পোশাকের মূল্য পরিশোধের কথা জানানো হয়েছে। আশা করবো বাকিরাও তাদের সরবরাহকারীদের পাওনা দ্রুত পরিশোধ করবে। এ অবস্থায় বিমা কোম্পানিগুলোরও দায়িত্ব অনেক। তাদেরও বলছি, দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুন।