ইইউ বাজারে সুবিধা পেতে রফতানি পণ্য বাড়াতে হবে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা পেতে শ্রমমান ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি রফতানি পণ্যের বহুমুখিকরণও জরুরি বলে জানিয়েছেন ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য ম্যাক্সিমিলান ক্রাহ।

মঙ্গলবার (১৯ ‍জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আয়োজিত ডিক্যাব টকে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরেক ইইউ পার্লামেন্ট সদস্য হেইডি হাওটোলাও উপস্থিত ছিলেন।

ম্যাক্সিমিলান বলেন, ইইউ বাজারে বাংলাদেশের মোট রফতানির ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক। শুল্কমুক্ত সুবিধা ধরে রাখতে পণ্যের বৈচিত্র্য লাগবে। একটি পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা ওই সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আগামী সাত থেকে আট বছরের মধ্যেই বহুমুখীকরণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা পাট বহুমুখীকরণ সেন্টার পরিদর্শন করেছি। ওষুধ ও তৈরি পোশাক শিল্পও পরিদর্শন করবো।

গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে যে বিজনেস মডেল তৈরি হয়েছে সেটির উত্তরণ দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উচ্চস্তরে উপনীত হয়েছে। আমরা দেখেছি ভারত কীভাবে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করছে।

ইইউ বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধার সবচেয়ে বড় সফলতা বাংলাদেশ, এমনটা জানিয়ে হেইডি বলেন, আমরা বাংলাদেশে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো।

তিনি বলেন, ২০২৯ পর্যন্ত জিএসপির আওতায় বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। কিন্তু এরপর জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে শ্রম সংস্কারের জন্য জাতীয় অ্যাকশন প্লানের পূর্ণ এবং সন্তোষজনক বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

সরকারের সদিচ্ছা থাকলে শ্রম আইন সংস্কার সম্ভব জানিয়ে হেইডি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম বন্ধ হবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমরাও চাই এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।

২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইইউর বাজারে বাংলাদেশের রফতানি দ্বিগুণ হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, স্বল্প আয়ের দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ হলে জিএসপি প্লাস সুবিধার প্রয়োজন হবে।