পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায় বিজিএমইএ

পোশাক শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি শ্রমিক ও কারখানা ব্যবস্থাপনার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির মাধ্যমে সৌহার্দ্যপূর্ণ শিল্প সম্পর্ক বজায় রাখার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

ফারুক হাসান বলেন, ‘শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকলে— তা প্রকারান্তরে পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সহায়তা করবে। শিল্পের বিকাশে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। গুরুত্ব বিবেচনা করে বিজিএমইএ’তে একটি আরবিট্রেশন-কাম কনসিলিয়েশন কমিটি রয়েছে, যা  বিরোধ ও অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য বিনামূল্যে কর্মীদের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পরিষেবা প্রদান করে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শিল্পের সামনে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ উভয়ই রয়েছে।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘শিল্প কেবলমাত্র কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব কাটিয়ে পুনরুদ্ধার হয়েছে। এরই মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে  নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে, যার প্রভাব আমাদের পোশাক শিল্পেও পড়ছে।’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘অধিকন্তু, বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য শিল্পকে প্রস্তুতি নিতে হবে। পণ্যের  বৈচিত্র্যকরণ, উদ্ভাবন, প্রযুক্তির মানোন্নয়ন এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পোশাকশিল্পের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

বিজিএমইএ এবং আইবিসি উভয় পক্ষের নেরতারা পোশাক শিল্প ও এ শিল্পের শ্রমিকদের কল্যাণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

বৈঠকে বিজিএমইএ’র পরিচালক হারুন অর রশিদ, বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন আইএলও অ্যান্ড লেবার অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান এ. এন. এম সাইফুদ্দিন এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন লেবার আরবিট্রেশন সেল-১ এর চেয়াম্যান  রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।