বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি’র (বিজিএমইএ) ২০২৫-২৭ মেয়াদের পর্ষদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে নির্বাচনি জোট ‘ফোরাম’। জোটটি বিজিএমইএ-কে একটি ‘স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর’ সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। জোটের নেতারা বলছেন, মালিক-উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বে বিজিএমইএ হলে, এটি আরও শক্তিশালী হবে এবং পোশাক খাতের উন্নয়নে ৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে আলাদা একটি মন্ত্রণালয় গঠন ও টেকসই উন্নয়ন।
রবিবার (১১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরামের মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফয়সাল সামাদসহ প্রার্থী সদস্যরা।
মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, পোশাক খাত জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কিন্তু ৪৫ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এটি এখনো পুরোপুরি টেকসই হয়নি। অতীতে বিজিএমইএ তার প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারেনি। কিছু গোষ্ঠী ব্যক্তিস্বার্থে সংগঠনটি ব্যবহার করেছে। তবে এবার একটি গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা তৈরি হওয়ায় সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় আছেন।
তিনি জানান, ফোরাম ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে অভিজ্ঞ ও তরুণ উদ্যোক্তারা। নির্বাচিত হলে তারা একটি নতুন ও আধুনিক বিজিএমইএ গড়বেন।
ফোরাম নেতারা আরও বলেন, তারা একটি পৃথক ‘পোশাক মন্ত্রণালয়’ গঠনের পাশাপাশি ৯টি অগ্রাধিকার ইস্যুতে কাজ করতে চান। এর মধ্যে রয়েছে, ‘এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বাড়তি নীতিগত সহায়তা’; ‘ব্যাংক ও কাস্টমসে হয়রানি বন্ধ’; ‘রুগ্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনরুদ্ধারে বিশেষ সহায়তা’ ও ‘এক্সিট পলিসি (প্রতিষ্ঠান বন্ধের নিয়ম) তৈরি’ প্রভৃতি।
তারা জানান, বিজিএমইএ হবে আর কোনও দলীয় কার্যালয় নয়, হবে মালিকদের সমস্যা সমাধানের জায়গা। অঞ্চলভিত্তিক ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল’ গঠন করা হবে। প্রতিটি পরিচালককে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
বিগত দিনের বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাহমুদ হাসান বলেন, কিছু উদ্যোক্তা ব্যক্তিগত কারণে আইনি সমস্যায় আছেন। তবে বিজিএমইএর নেতৃত্বে থেকে কেউ এসব কাণ্ড ঘটাননি। দোষ প্রমাণিত না হলে কাউকে আগে থেকেই দোষী বলা ঠিক নয়।
তিনি জানান, ফোরামের লক্ষ্য হলো—বিজিএমইএকে এমন একটি সংগঠন বানানো, যেখানে মালিক, শ্রমিক—সবাই সম্মান পাবে এবং কোনো রাজনৈতিক প্রভাব থাকবে না।