অবশেষে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) থেকেই পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি দেওয়া হবে।   

রবিবার (৪ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

উল্লেখ্য, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে এবং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এবার সরকার আবার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিলো। 

পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূরণতা অর্জনে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়ন করছে রোডম্যাপ। এতে সাফল্যের দাবি করা হচ্ছে।কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দুই বছরে আগে যেখানে উৎপাদন হতো ২৫ লাখ টনের মতো, এখন উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ লাখ টনের মতো।

২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। এবছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫ থেকে ৩০ বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ লাখ মেট্রিক টন। ২০২১-২২ অর্থ বছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন।

রবিবার (৪ জুন) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সেমিনার শেষে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয়সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সেজন্য সবসময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

আরও পড়ুন- 

পেঁয়াজ নিয়ে কী ভাবছে সরকার

পেঁয়াজ আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

এবার আড়তদাররা বললেন, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন চাষিরা