সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে এলএনজি কিনবে সরকার

সরকার ৬৭ লাখ ২০ হাজার এমএমবিটিইউ বা দুই কার্গো তরলিকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ২৪২ কোটি ৮০ লাখ ৯৫ হাজার ৬৮০ টাকা। সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর থেকে এই এলএনজি কেনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’ এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে (২০২৩ সালের ২০তম) এক কার্গো এলএনজি সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জি গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৯৫ কোটি ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪০ টাকা।  প্রতি এমএমবিটিইউ’র দাম ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার।’

তিনি জানান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন-২০২১’ এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (২০২৩ সালের ২১তম) এলএনজি সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৬৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭ হাজার ৪০ টাকা।  প্রতি এমএমবিটিইউ’র দাম ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৯৭ মার্কিন ডলার।

এর আগে অনুষ্ঠিত সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক কক্সবাজারে মহেশখালীতে স্থাপিত এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এক থেকে ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি ২০২৬ সাল হতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

অপর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক কক্সবাজারে মহেশখালীতে স্থাপিত সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ১ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি ২০২৬ সাল হতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।