বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও বিমসটেক প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট ‘বিমসটেক’ এর সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্রা মানি পান্ডের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ অফিস কক্ষে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও বিমসটেকের প্রতিনিধি দল পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া উভয় দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা মন্ত্রী পর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী।’

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নতমানের নতুন অনিয়মিত রফতানিযোগ্য পণ্য আমদানি করতে চায় ইন্দোনেশিয়া। একইসঙ্গে বাংলাদেশে আগামীতে বিনিয়োগে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া।’

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ‘বিমসটেক’ এর সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্রা মানি পান্ডে প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, বিনিয়োগের জন্য অর্থনৈতিক জোন করেছে সরকার। আমদানি-রফতানিতে আমরা একাধিক দেশের সঙ্গে সরাসরি বিনিময় ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছি। রফতানিযোগ্য পণ্য তালিকায় বৈচিত্র্য আনতে নতুন উন্নতমানের পণ্য আগামীতে যুক্ত হবে।’ 

এরপর প্রতিমন্ত্রী টিটু বিমসটেকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বলেন, ‘বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর মাঝে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ।

বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্রা মানি পান্ডে আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে ব্যবসা, বিনিয়োগ ও ব্লু-ইকোনমি খাতে সহযোগিতার প্রধান ভূমিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।