রফতানি তথ্য সংশোধনের ফলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয় কমবে না বলে মনে করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এক ব্যাখ্যায় মন্ত্রণালয় বলেছে, তথ্য সংশোধনের ফলে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত রফতানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে— রফতানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসে, বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু সেই পরিমাণ অর্থ দেশের রফতানি পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। জিডিপি হিসাব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশ ব্যাংকের এ হিসাবকেই বিবেচনায় নেয়।
ব্যাখ্যায় বলা হয়, সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় রফতানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রফতানি আয়ের তথ্য সংশোধন করে। এর ফলে গত দুই অর্থবছরে রফতানি আয়ের প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার কমে গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যায় বলেছে, লেনদেনের ভারসাম্য বা ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চলতি হিসাব এবং আর্থিক হিসাবের কিছু ক্ষেত্রে উপাত্তের পুনর্বিন্যাস হয়েছে। তবে এর ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সার্বিক ভারসাম্যে কোনও পরিবর্তন আসবে না। এরই মধ্যে পুনর্বিন্যস্ত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, রফতানি ক্ষেত্রে প্রদত্ত নগদ আর্থিক প্রণোদনার পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রকৃত রফতানি আয় প্রাপ্তি এবং তৃতীয় পক্ষের নিরীক্ষকের মাধ্যমে প্রকৃত নগদ প্রণোদনা নিরূপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সুতরাং, সরকার কর্তৃক রফতানির বিপরীতে যে নগদ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, তা সঠিক রয়েছে।
রফতানি তথ্য সংশোধনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, রফতানি বিষয়ে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধন বা রিকনসিলিয়েশনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করছে। ফলে তিন প্রতিষ্ঠানের রফতানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।