‘১৬১১৬’ দেশের প্রথম বিদ্যুৎসেবায় কলসেন্টার ডিপিডিসির

‘১৬১১৬’ নম্বরে ফোন করলেই সেবা পাবেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) গ্রাহকরা।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দেশের ছয়টি বিদ্যুৎবিতরণ প্রতিষ্ঠনের মধ্যে ঢাকার একাংশ ও নারায়ণগঞ্জে এই সেবা চালু করতে যাচ্ছে ডিপিডিসি। গ্রাহকসেবার মানোন্নয়নে কেন্দ্রীয়ভাবে অভিযোগ গ্রহণ ও সমাধান করতে নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ডিপিডিসির কল সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

সারাদেশে এখন ৬টি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিতরণ করছে। তবে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক রয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের। এই বোর্ডের অধীনে আবার ৮০টি সমিতি রয়েছে। প্রত্যেক সমিতির গ্রাহক যেমন আলাদা, তেমনি এর লাভ-ক্ষতির হিসাবও আলাদা। এর বাইরে যেসব প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিতরণ করছে, বিশেষ করে শহুরে গ্রাহকের সুবিধার জন্য কলসেন্টার চালু করা যেতেই পারে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অনেক দিন ধরেই কলসেন্টার চালু করার ওপর জোর দিয়ে আসছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিতরণকারী কোম্পানিকে কলসেন্টার চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন। 

প্রতিমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ডিপিডিসি প্রথম কল সেন্টার চালু করেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে দুপুরে কলসেন্টারটি উদ্বোধন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘ডিপিডিসি ৩৬টি এলাকায় বিভক্ত। প্রত্যেকটি এলাকার জন্য আগে আলাদা আলাদা নম্বর ছিল। এসব নম্বরে অভিযোগ করতো গ্রাহক। এখন ১৬১১৬ একটিই নম্বর। এই নম্বরে ফোন করে সমস্যার কথা বলবেন গ্রাহকরা।’ তিনি বলেন, ‘গ্রাহক কলসেন্টারে ফোন করে তার কাস্টমার নম্বর এবং বিদ্যুৎ অফিসের কোড জানালে তারা বুঝতে পারবে তিনি কোন জায়গা থেকে অভিযোগটি করছেন। প্রত্যেক মাসে আমরা যে বিল তাদের সরবরাহ করি, তার ওপরই এসব লেখা থাকে। তবে কোনও গ্রাহক এটি না বলতে পারলে তিনি কলসেন্টার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে তার সমস্যাটি বুঝিয়ে বলবেন। সম্ভব হলে কলসেন্টার প্রতিনিধি সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সমাধান করবেন। নয়তো সংশ্লিষ্ট এলাকার অফিসকে সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হবে।’

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, অন্য কোম্পানিগুলোকেও কলসেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতিকে স্মার্ট সেবা দেওয়ার পথ বলে মনে করা হয়। কলসেন্টারে একজন কর্মী গ্রাহকের ফোন কলটি রেকর্ড করে থাকেন। প্রতিশ্রুত সেবা না পেলে গ্রাহক হয়রানির জন্য ঊর্ধ্বতনদের কাছে অভিযোগ করতে পারবেন।

ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক রমিজ উদ্দিন সরকার বলেন, ‘রাজধানীর হাতিরপুলে কল সেন্টারটি স্থাপন করা হয়েছে। যার মূল সার্ভার থাকবে গুলশানে। সাধারণত একজন গ্রাহক তার বাসায় কোনও কারণে বিদ্যুৎ না থাকলেই ফোন করেন। কল সেন্টারে গ্রাহক ফোন করলে প্রতিনিধি গ্রাহক কেন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন তা দেখে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।’ বিদ্যুৎ না থাকা ও বিলসহ অন্য যেকোনও ইস্যুতে কল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিতে পারেন বলেও তিনি জানান।