দুর্যোগে মোবাইল অপারেটরদের বিদ্যুতের বিকল্প উৎস প্রস্তুত রাখার অনুরোধ

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিপ্রাকৃতিক দুর্যোগের পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর মোবাইল অপারেটর অব বাংলাদেশ (এমটব) এর পক্ষ থেকে বলা হয়, দুর্যোগের পর বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সেবা প্রদান বিঘ্নিত হচ্ছে। এরপরই বিইআরসি এই অনুরোধ জানায়।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) টিসিবি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) প্রস্তাবিত বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

এমটব এর সদস্য এবং মোবাইল অপারেটর রবির প্রতিনিধি অনামিকা ভদ্র বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকলেও ব্যাটারি দিয়ে ছয় ঘণ্টা ব্যাকআপ দেওয়া যায়। এরপর বিদ্যুৎ এলে ব্যাটারি চার্জ দিতে কিছুটা সময় লেগে যায়। আর ছয় ঘণ্টার ওপরে বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর দিয়ে সেবা চালু রাখতে হয়। সারা বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ১৫ হাজার নেটওয়ার্ক সাইট আছে৷ সব জায়গার জন্য এমটক জেনারেটরের ব্যবস্থা করা সহজ না।’ এজন্য তিনি দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ যাতে বন্ধ না থাকে সে অনুরোধ করেন।

পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মুঈন উদ্দিন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মোবাইল সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। মোবাইল ফোন অপারেটররা বিদ্যুতের কোনও ব্যাকআপ সিস্টেম রাখে না।’

বিইআরসি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখতে হবে। এজন্য আপনাদেরই নিজেদের উদ্যোগ নিতে হবে।’

এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম,  সদস্য রহমান মুরশেদ,  সদস্য মাহমুদউল হক ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার (১ ডিসেম্বর)  বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইস্যুতে শুরু হওয়া গণশুনানির শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার।  দুপুরে শুরু হবে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) গ্রাহক পর্যায়ের মূল্য হার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি।

আরও পড়ুন- বিদ্যুতের দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের নীতিমালা করবে বিইআরসি