‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটটফর্ম প্রয়োজন। সৌর বিদ্যুতের প্রসারে ভারত বা আফগানিস্তানে বিদ্যমান সুবিধা কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করা যেতে পারে। এ জন্য প্রয়োজন গ্রিড ব্যবস্থার আধুনিকায়ন।

বুধবার (৩  মার্চ) সচিবালয় থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্ত হয়ে ‘টিম ইউরোপ গ্রিন এনার্জি ইনিসিয়েটিভ’ সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের প্রতিনিধি ডরিও ট্রমবিটা, কোয়েন ইভারিয়ার্ট, তানজিনা দিলসাদ, চিয়ারা ভিডুসী, রয়েল নরওয়ে দূতাবাসের ক্রিসটিন টি. ওয়ারিংসাসেন, সুইডেন  দূতাবাসের  মাহবুবুর রহমান, মারকোস জোহান্নেসন, ইউরোপীয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক নয়া দিল্লির ডোনাল ক্যানন, কেএফডাব্লিউ-এর অনির্বাণ কুন্ডু, জিআইজেড-এর এঞ্জেলিকা ফ্লিডারম্যান, মুদাব্বির আনাম, জার্মান  দূতাবাসের  শেখ মাহমুদুল আহসান এবং ইআইবি-এর কেটরিন বুক সংযুক্ত ছিলেন। 

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেপথ্যে অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতি এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ বাড়াতে এমন  উন্নত প্রযুক্তি লাগবে, যা অল্প জায়গায় স্থাপন করা যায়। টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা সৃজনের জন্য প্রয়োজন উন্নত দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়, পলিসি ডায়লগ ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৭২২ দশমিক ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। নেপাল ও ভূটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়টি চলমান। অপরদিকে শীতকালে নেপালে বিদ্যুৎ রফতানিও করা যেতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। ৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যার অর্ধেক মূল্য সরকার পরিশোধ করে।’ তিনি আরও বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ গ্রিন ও ক্লিন এনার্জির প্রসারে আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করছে। এনার্জি ট্রানজিশনের এই পর্যায়ে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য খাতের প্রসারে কারিগরি ও আর্থিক বিনিয়োগ করে সহযোগিতা করতে পারে।’