গ্যাসের চাপ কম থাকবে শুক্রবার পর্যন্ত

এলএনজি সরবরাহ কম থাকার কারণে আগামীকাল শুক্রবার (২৬ মার্চ) পর্যন্ত ঢাকার কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে তিতাস। তবে গতকালের তুলনায় আজ বৃহস্পতিবার শহরের অনেক এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।

ধানমন্ডি থেকে ইভা রহমান জানান, গতকাল সকালে একদম গ্যাস ছিল না। দুপুরের পর অল্প অল্প করে গ্যাস আসতে শুরু করে। আজ একেবারে স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। মোহাম্মদপুরের অনামিকা সরকারও জানান, গতকালের তুলনায় গ্যাস একেবারে স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে মোহাম্মদপুরের কিছু এলাকায় এখনো স্বল্পচাপ পাচ্ছেন অনেক গ্রাহক। রামপুরা, বনশ্রী,  পুরানো ঢাকার কিছু এলাকাতে চাপ কম।

এর আগে বুধবার তিতাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা শহরসহ সব এলাকায় স্বল্প চাপ বিরাজ করবে। তিতাস জানায়, তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় সামগ্রিক নেটওয়ার্কে গ্যাসের সরবরাহ কম। এজন্য ঢাকা শহরসহ সব এলাকায় প্রয়োজনীয় পরিমাণে ও চাপে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না তারা।

আরও পড়ুন-

রান্নার হাঁড়ি নিয়ে এ পাড়া ও পাড়া!

ঢাকায় মারাত্মক গ্যাস সংকট, চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সব জায়গায় গ্যাসের চাপ কম থাকবে

প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে আমিনবাজারে রাস্তা মেরামত করতে গিয়ে তিতাসের সিটি গেটের গ্যাসের পাইপলাইন ফুটো করে ফেলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।  রাতে মেরামতের কাজ শুরু করলে মঙ্গলবার সারাদিনের পর মঙ্গলবার রাত থেকে অল্প অল্প করে গ্যাস আসতে শুরু করে। কিন্তু মেরামতের কাজ শেষ না করা এবং একইসঙ্গে  এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে বুধবার সকাল থেকে আবারও ঢাকার অন্য এলাকাসহ ওই এলাকাগুলো গ্যাসের আহাজারি তৈরি হয়। সারাদিনই এই সমস্যা ছিল।

বুধবার রাতে আস্তে আস্তে গ্যাস আসতে শুরু করে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে অনেক এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এলেও এখনও কিছু কিছু এলাকায় স্বল্প চাপ আছে। এজন্য এলএনজি সরবরাহ কম থাকাকেই দায়ী করছে তিতাস।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এলএনজি সরবরাহ বাড়লে স্বল্পচাপের এই সমস্যা আর থাকবে না। আগামীকাল এলএনজি সরবরাহ বাড়বে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।’

এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে এলএনজি সেলের এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, ‘আগামীকাল শুক্রবার থেকে আমরা ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো এলএনজি সরবরাহ করতে পারবো বলে আশা করছি।’

বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা গড়ে প্রায় ৩৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট,  চাহিদার তুলনায় আগে থেকে সরবরাহ করা হয় গড়ে ২৯০০ মিলিয়নের মতো। আগের ঘাটতিই ৬০০ মিলিয়নের মতো।

এদিকে গত মঙ্গলবার এলএনজির সরবরাহ ছিল ৬৪০ বুধবার তা কমে গিয়ে হয় ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট।  ফলে ৬০০ মিলিয়ন ঘাটতির সাথে আরো প্রায় ৭০ মিলিয়ন যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়।