আবাসিকে গ্যাসের বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীদের খুঁজছে জ্বালানি বিভাগ

আবাসিকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন। এগুলো শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।  

সূত্র জানায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছ থকে বিভিন্ন বাড়ি আবাসিক হিসেবে অনুমোদন নেওয়া হয়। কিন্তু পাড়া-মহল্লায় খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের অফিসে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। যদিও এগুলোতে গ্যাস সংযোগ নেওয়ার সময় আবাসিক হিসেবে দেখানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বাণিজ্যিক কাজ করা হলেও শ্রেণি পরিবর্তন করেনি সংশ্লিষ্টরা। এতে বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। তাই এসব গ্যাস সংযোগ চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিতরণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আবাসিকে সংযোগ নিয়ে চাইলেই সেটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যায় না। এটি পুরোপুরি অবৈধ। তাছাড়া এখন আবাসিক ও বাণিজ্যিক সংযোগের বিষয়ে কঠোরতা রয়েছে। যারা এই কাজে লিপ্ত তাদের চিহ্নিত করতে পারলে আমরা সংযোগ কেটে দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কোনও না কোনোভাবে আবারও তারা সংযোগ জুড়ে নিচ্ছেন। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।’

জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ কমিটির সভায় সরকারের এভাবে রাজস্ব হারানোর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। সেখানে বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযোগ করেছে, কোথাও কোথাও এভাবে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই এগুলোর বিষয়ে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্টো চিত্র দেখা গেছে বিদ্যুতে। বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রাজস্ব বাড়াতে আবাসিক ভবনে কোনও বাণিজ্যিক কাজ হলে সেগুলো যাচাই বাছাই করছে। আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগগুলোকে বাণিজ্যিক সংযোগে রূপান্তর করা হচ্ছে। এতে বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজস্ব বাড়ছে। কিন্তু গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সরকার কঠোর নয় বলে তা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র বলছে, সারাদেশে লাখ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বড় বড় জেলাগুলোতেই আবাসিক গ্যাস নিয়ে বাণিজ্যিকে ব্যবহারের প্রবণতা বেশি। তবে এটি সব জায়গায় নয়। কেবল রাস্তার পাশে যেসব ভবন রয়েছে সেগুলোতে খোঁজ নিলেই এটি বের করা সম্ভব। ফলে এটি বের করা খুব কঠিন কোনও কাজ নয়।