উলন সাবস্টেশনে আগুন

একই সাবস্টেশনে বার বার আগুন কেন?

উলন সাবস্টেশন পুড়ে যাওয়ায় ঢাকার ইস্কাটন, মগবাজার, তেজগাঁও এবং রামপুরায় লোডশেডিং হচ্ছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ঠিক কবে নাগাদ এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলতে পারছে না। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন কাজ চলছে। ঠিক হতে কিছু সময় লাগবে।

ডিপিডিসির সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। রাজধানীর উলন এবং আফতাবনগর সাবস্টেশনে এর আগেও কয়েক দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কেন বারবার আগুন লাগে তা নিয়ে বারবার আলোচনা সমালোচনা হলেও প্রতিকার হয়নি।

এর আগে গ্রীষ্মে তীব্র গরমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলা হলেও এবার ঘটলো শীতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রত্যেকটি সাবস্টেশনে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে বরাদ্দ থাকে সেটার যথাযথ ব্যয় হয় না বলেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এর আগে ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল উলন সাবস্টেশনে আগুন লাগে। ওই বছর রাজধানীর বিভিন্ন সাবস্টেশনে অন্তত ৯ বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে ডিপিডিসির চার কর্মকর্তা রয়েছেন। কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটির খানিকটা সময় প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে ডিপিডিসি সূত্র।

রাজধানীর রামপুরা মহানগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা রুপা খানম জানান, তাদের এলাকায় সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না।

উলন সাবস্টেশনের আওতাধীন এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, সাবস্টেশন পুড়ে যাওয়ার পর লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন তারা। দিনে অন্তত পাঁচ থেকে ছয়বার বিদ্যুৎ গেছে বলে জানিয়েছেন ওয়াপদা রোডের বাসিন্দা মিরাজ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, অন্যদিন লোডশেডিং একেবারেই হয় না।

একই কারণে মগবাজারেও লোডশেডিং হচ্ছে। মগবাজারের বাসিন্দা কাজী রুশিয়া বলেন, সকাল থেকে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ না থাকলেও পরিস্থিতি ভয়াবহ নয়। ঠান্ডা থাকায় পরিস্থিতি খারাপ হয়নি।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এই সাবস্টেশনটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট একঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানতে চাইলে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেহেতু সাবস্টেশন পুড়ে গেছে, একটু সংকট তো হবেই। তবে কাজ চলছে।’

 

আরও পড়ুন

বিদ্যুৎ গ্রিডে কেন আগুন?