রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওই মার্কেটের হাজারো ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মার্কেটের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তারা মালামাল কেনার জন্য ইতোমধ্যে অর্থলগ্নি করেছিলেন— যা অনাকাঙ্ক্ষিত এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন করেছে।
এ দুর্যোগ বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দ্রুত পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তাদেরকে আর্থিক সহায়তার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রবিবার (৯ এপ্রিল) টাকা চেম্বার থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সাত্তার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনার জন্য বেশকিছু সুপারিশ করেছেন। ডিসিসিআই’র সুপারিশগুলো হচ্ছে— ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের গৃহীত আর্থিক লোনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে সুদমুক্ত বা স্বল্প সুদে, বিশেষ মেয়াদি ঋণ প্রদানের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান। ইতোমধ্যে যারা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদি, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ও ক্যাশ ক্রেডিট ঋণ গ্রহণ করেছেন, তাদের ঋণের সুদহার কমানোসহ বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ঋণের ধরনের ওপর ভিত্তি করে কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা। সে পর্যন্ত তাদের ঋণ ক্ল্যাসিফায়েড হিসেবে ঘোষণা না করা এবং সরকারের বিদ্যমান বিভিন্ন পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি নিরূপণ পূর্বক তাদেরকে সহজ শর্তে প্রদত্ত ঋণের আওতায় নিয়ে আসা।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি বিশ্বা করেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি উপরোক্ত প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে, তাহলে উদ্যোক্তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মচারীদের জীবনাযাত্রা স্বাভাবিক হবে।