‘সৌরশক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে অন্য জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমবে’

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর দূরদৃষ্টি ও সাহসিকতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সেই ভিশনের ধারাবাহিকতায় বর্তমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে আমরা দেশব্যাপী   সোলার এনার্জি  বা সৌরশক্তিকে কাজে  লাগাতে পারলে অন্যান্য জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরতা কমবে। তিনি বলেন,‘একইসঙ্গে দেশবাসীকে জ্বালানি  ব্যবহারে সাশ্রয়ী ও সচেতন হতে হবে।’

রবিবার (৭ আগস্ট)  জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি (বিইএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে  টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভিশন’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের বর্তমান চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে নীতিমালা নির্ধারণ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

বিইএস’র সভাপতি ও সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি ম্যাগাজিনের  সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ  হোসেনের  উপস্থাপনায় ওয়েবিনারে  বক্তব্য রাখেন— জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: মাহবুব হোসেন, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, অধ্যাপক ম. তামিম, একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু এবং জিই গ্যাস পাওয়ারের (দক্ষিণ এশিয়া) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপেশ নন্দ, বিইএস সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ  উপস্থাপন  করেন   ইন্টারন্যাশনাল   এনার্জি   কনসাল্টেন্ট   ইঞ্জিনিয়ার   খন্দকার   আবদুস সালেক (সুফি)।

আবুল কালাম আজাদ বলেন,  ‘যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি আমদানিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অপরদিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের খনিজসম্পদও ক্ষতির সম্মুখীন। তাই আমাদের যথাসম্ভব জ্বালানির ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে এবং বিকল্প সমাধানগুলো কাজে লাগাতে হবে।’

ম. তামিম  বলেন ‘বাংলাদেশ তেল  ও   গ্যাস   আমদানিকারক   একটি  দেশ  এবং   আমাদের   মোট জ্বালানির  বড় একটি অংশ  তেলভিত্তিক।  পূর্ববর্তী সময়ে আমরা শুধু তেলের ক্ষেত্রে  ভর্তুকি প্রদান করতাম, তবে গ্যাস ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে তা দিতে হতো না। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে গেছে। তাই এখন যথাযথ নীতি নির্ধারণের মাধ্যমে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

মোহাম্মদ আজিজ খান  বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হতে সক্ষম হলেও জ্বালানি খাতে  আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। তবে  যুগোপযোগী পলিসি নির্ধারণ, স্থানীয় বিনিয়োগ এবং সরকারি   খাত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিতপ্রচেষ্টায় আমরা জ্বালানি চাহিদা, সরবরাহ পূরণে সক্ষম হতে পারবো।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে আমরা বর্তমান সংকট মোকাবিলায়   সক্ষম হবো। জ্বালানি সংকট একটি বৈশ্বিক সমস্যা, তাই এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সময় সাপেক্ষ। তবে আমরা যথাযথ নীতিমালা  প্রণয়ন, জ্বালানির দাম ধারাবাহিকভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে আসন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ঠেকানো পারবো।’