দীর্ঘ ১২ বছর পর আনুষ্ঠানিক ভোটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো দেশের নিট গার্মেন্টস মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাচন। ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ গঠনে আয়োজিত এই নির্বাচনে মোহাম্মদ হাতেমের নেতৃত্বাধীন ‘প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স’ প্যানেল জয়ী হয়েছে। এই প্যানেলের মনোনীত ৩৫ জন প্রার্থীই নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (১০ মে) ঢাকার বাংলামোটর ও নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বিকেএমইএ ভবনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৫৭২ ভোটারের মধ্যে ৪৩১ জন ভোট প্রদান করেন, যা উপস্থিতির হিসেবে ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে ৪০৮টি ভোট বৈধ হিসেবে গণ্য হয়। ঢাকায় বৈধ ভোটের সংখ্যা ছিল ২১৯ এবং নারায়ণগঞ্জে ১৮৯টি।
নির্বাচনে ৩৫টি পরিচালক পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৩৫ জনই ছিলেন প্রোগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্সের। বাকি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াই করেন। তারা হলেন, মার্টিন নীটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএম হায়দার আলী, মনিরা নীট অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনির হোসেন শেখ এবং রনি নীটওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাজাহান আলম।
ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমি সব সময় নির্বাচনের পক্ষে। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং আমাদের প্রতি আস্থা রাখায় কৃতজ্ঞ। ঢাকায় আন্দোলনের কারণে কিছুটা উপস্থিতি কম ছিল, তবে সার্বিকভাবে আমরা সন্তুষ্ট।’
নির্বাচিত ৩৫ জন পরিচালকের মধ্য থেকে পরবর্তী সময়ে সভাপতি, নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, ছয়জন সহসভাপতি এবং ৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে গঠিত কমিটির সভাপতি ছিলেন এ কে এম সেলিম ওসমান, যিনি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আলোচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট তার পদত্যাগের পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ হাতেম। নির্বাচনে প্যানেলের জয়ের পর আগামী কমিটিতে তিনিই সভাপতি হতে পারেন বলে সংগঠনের একাধিক নির্বাচিত পরিচালক ইঙ্গিত দিয়েছেন।