উপকূলীয় এলাকায় কাজ চলছে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি বিকাল নাগাদ উন্নতির আশা

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠান আরইবি এবং ওজোপাডিকো। জানা যায়, সকাল বেলাও আরইবির প্রায় ৮৯ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় ছিল। এখন ধীরে ধীরে মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হচ্ছে। বিকাল নাগাদ উন্নতির আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়া, ট্রান্সফরমার পরিবহন করে নিয়ে যেতে সময় লাগছে।

বিকাল নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতির আশা করছে বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা। তিনি জানান, সকাল থেকে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, বিকালের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীন এলাকায় গতকাল রাত ১২টার হিসাবে ৩১টি সমিতির প্রায় ৮৭ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এতে করে উপকূলীয় প্রায় ২৫ জেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল। এরপর রাতভর চলে ঝড়ের তাণ্ডব। এতে করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় আরও কিছু। 

সকালের হিসাবে আরইবি সূত্র জানায়, ৩৫টি সমিতির প্রায় ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। গভীর রাতে কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় সকালে বিদ্যুৎ লাইন সচল করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে অনেক এলাকায় পানি থাকায় কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বিকাল নাগাদ অনেক সমিতির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কিছু দুর্গম এলাকায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলেও জানানো হয়।

কুমিল্লা

আরইবির সদস্য আমজাদ হোসেন জানান, আমরা কাজ করছি তবে কখন নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা বলা কঠিন। প্রতিটি সমিতিতে প্রকৌশলী পৃথক পৃথক দল রয়েছে। যারা কাজ করছেন। একটি সমিতির পুরো কাজ শেষ হলে আমাদের সেটি জানানো হচ্ছে। এজন্য সমিতিগুলোর এলাকা ভিত্তিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সেটি আমরা পরে জানতে পারছি। তারা টিটিআর অর্থাৎ টার্গেট টু রিস্টোরেশনের সময় নিয়েছে। বেশিরভাগই বিকেল নাগাদ বলেছে। তবে কিছু দুর্গম এলাকায় জোয়ারের পানি থাকায় কাজ করতে সময় লাগতে পারে বলেও তারা জানিয়েছে।

ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের চারটি এলাকা ছাড়া অন্য সব জায়গাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এরমধ্যে ঝালকাঠি, চরফ্যাশন, ভাঙ্গা এবং সদরপুরে কাজ চলছে। এসব জায়গায় বিদ্যুৎ আসতে কিছুটা সময় লাগবে। 

ওজোপাডিকো সুত জানায়, তাদের অধীন এলাকার মধ্যে চার জায়গায় বিদ্যুৎ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বিকেলে নাগাদ পরিস্থিতি আরও ভাল হবে বলে তারা আশা করছে। 

ওজোপাডিকোর এক কর্মকর্তা জানান, ঝালকাঠিতে বিদ্যুৎ দ্রুত চলে আসবে। চরফ্যাশনেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য লোক গিয়েছিল। কিন্তু জোয়ারের পানিতে ওই এলাকা প্লাবিত হওয়াতে কাজ করা যাচ্ছে না। এরপরও কাজের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ভাঙ্গা এবং সদরপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কিছু সময় প্রয়োজন হবে।