আরও ১০০টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে: প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন করা হবে। আরও ১০০টি কূপ খননের কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। গ্যাসের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। চাহিদার সাথে সরবরাহের সমন্বয় করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পেট্রোবাংলায় গ্যাস ডিমান্ড-সাপ্লাই সিনারিও, স্কোপ অব সিসমিক সার্ভে অ্যান্ড এনহেন্সমেন্ট অব ড্রিলিং এক্টিভিটি টি এক্সপেডিট হাইড্রোকার্বন প্রোডাকশন" শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, অধ্যাপক ড. এ এসএম ওবায়দুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হুসেন মো. সায়েম, অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. ইজাজ হোসেন। এ ছাড়া পেট্রোবাংলার দফতরগুলোর বর্তমান ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পরিকল্পনা সাজাবো। ২০২৯-৩০ সনের দিকে গ্যাসের চাহিদা হতে পারে ৬৬৫৫ এমএমসিএফডি। অন্যদিকে নিজস্ব খনিতে মজুত কমে যাচ্ছে। বিকল্প জ্বালানির চিন্তাও আমাদের করতে হচ্ছে। প্রতিটি কাজের টাইমলাইন থাকা বাঞ্ছনীয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমালোচনা না করে কীভাবে সরবরাহ বাড়ানো যায়-তার সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা প্রয়োজন। দেশীয় গ্যাস আমদানি করা এলএনজির সাথে মিশিয়ে মিশ্রিত গ্যাসের প্রতি কিউবিক মিটার ক্রয় মূল্য ২৪.৮০ টাকা এবং গড়ে বিক্রয় করা হয় প্রতি কিউবিক মিটার ২১.৪১ টাকা। এই ঘাটতি সুষম উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারে। তা ছাড়াও বিদ্যুতে চাহিদা মতো গ্যাস দিতে পারলে ভর্তুকি প্রায় ৭০ ভাগ কমে যাবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার ইসলাম ও পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক মেহেরুল হাসান।

জ্বালানি সচিব নুরুল আলম বলেন, ‘দুটি টার্মিনাল দিয়ে এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে অনেক অনেক ঘাটতি হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমদানি আরও বেড়ে গেলে গ্যাসের মূল্য কোথায় গিয়ে ঠেকবে— আমাদের কোনদিকে যাওয়া উচিত, মতামত ও পরামর্শ দেবেন। সর্বোতভাবে, যে কাজটি করা প্রয়োজন, আমরা করার চেষ্টা করবো।’

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, চলমান ৪৮টি কূপ খননের পাশাপাশি আরও ১০০টি কূপ খনন করবো ২০২৮ সালের মধ্যে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র আহ্বান করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।