সংক্ষেপে, সাধারণ এই পরিস্থিতিতে যে কারও মনে উদযাপনের মতো মানসিকতার জন্ম দেয় না। যাই হোক, উদযাপন আমাদের করতেই হবে!
বাংলা ট্রিবিউনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপনের মধ্য দিয়ে শুধু নতুন একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের অর্জনকে উদযাপন করি না। আমরা প্রথমত ও সবার আগে উদযাপন করি আমাদের প্রতিবেদকদের সাহস ও পারদর্শিতার, যারা প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে কঠোর পরিশ্রম এবং প্রায়ই ঝুঁকি নেন।
আমরা উদযাপন করি, সম্পাদক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ পুরো টিমের অধ্যবসায় ও বিবেচনাকে। যারা আমাদের পাঠকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হাজির করেন। আমরা উদযাপন করি পাঠকদের, যারা আমাদের কাজকে গুরুত্ব দেন এবং প্রতিটি ক্লিকের মধ্য দিয়ে ক্রমাগত আমাদের শক্তিশালী হয়ে ওঠার সঙ্গী হন।
আমরা আরও উদযাপন করি দেশের প্রিন্ট, টেলিভিশন, রেডিও বা ডিজিটাল মাধ্যমের সহকর্মীদের ভালো, কঠোর ও সৎ প্রচেষ্টাকে।
সাংবাদিকতা পেশার প্রতি ভালোবাসা রয়েছে এমন মানুষদের একটি জায়গায় জড়ো করতে না পারলে কোনও মিডিয়া প্রতিষ্ঠানই উন্নতি করতে পারে না। এমনকি তাদের নিজেদের কাজ যতই চমৎকার হোক না কেন। আমরা যখন দেখছি সব সংস্কৃতিতে নতুন ধরনের চরমপন্থার উদ্ভব হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া সমাজের বিভক্তির কালো দিকটি বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং অনেককেই গভীরভাবে নিমজ্জিত করছে; তখন মুক্ত মিডিয়ার কাজ সব সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মুক্ত চিন্তার পরিবেশের অবক্ষয় সত্যিকার সাংবাদিকতার গুরুত্ব ও মূল্যকে খাটো করছে। এরপরও আমরা সত্যিকার সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে চাই। চাই অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা একই ধরনের প্রতিশ্রুতিতে কাজ করছে, তাদের আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করতে।
যে বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে উৎসাহিত করেছিল সেই আকাঙ্ক্ষা এবং সংবিধান প্রদত্ত স্বাধীনতায় আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি। এই বর্ষপূর্তিতে আমরা নতুন করে অঙ্গীকার করছি যে, আমরা এই আকাঙ্ক্ষার প্রতি এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রিপোর্টিংয়ের প্রতি সৎ থাকব।
শুধু বাংলা ট্রিবিউন পরিবারের সব সদস্যের কর্মনিষ্ঠা দিয়ে নয়, এই শিল্পে আমাদের সহযাত্রীদের প্রতিশ্রুতি এবং পাঠকদের অবিচল উদ্দীপনা ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এই লক্ষ্য আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো।
লেখক: প্রকাশক, বাংলা ট্রিবিউন