ছাত্রলীগের প্রকৃত রূপ চেনা গেছে

স্বদেশ রায়কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে যে শিবির ও ছাত্রদল ছিল আর তাদের পেছনে ছিল বিএনপি জামায়াত- এ নিয়ে এখন আর কারো কোনও সন্দেহ নেই।  এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ ছাত্রদের প্রতারণা করে সরকার উচ্ছেদের আন্দোলন করা, একটি সহিংসতার মধ্যে দিয়ে আইন বর্হিভূতভাবে খালেদাকে জেল থেকে বের করা- আর এ নিয়েও এখন যদি কেউ প্রশ্ন তোলে তাহলে ধরে নিতে হবে তিনি জামায়াত বিএনপির পক্ষ হয়ে কাজ করছেন।  তবে আন্দোলনের ভেতর দিয়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের যে লাভটি হয়েছে তারা ক্ষমতায় আসার নয় বছর পরে তাদের ছাত্র সংগঠনের প্রকৃত রূপটি চিনতে পেরেছে।  এমন কী ইচ্ছে করলে বাসদ ও কমিউনিস্ট পার্টিও তাদের ছাত্র সংগঠনের প্রকৃতরূপ এই আন্দোলনের ভেতর দিয়ে চিনতে পারে।  বাস্তবে এই আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বেরিয়ে এসেছে, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের মধ্যে গত নয় বছরে শিবিরের অনুপ্রবেশ ঘটেছে সীমাহীনভাবে।  এখানে জামায়াতে ইসলামী নীতি অনুসরণ করেছে কমিউনিস্ট পার্টির।  কমিউনিস্ট পার্টি যেমন অবিভক্ত ভারতে কংগ্রসের মধ্যে, মুসলিম লীগের মধ্যে ঢুকে তাদের কাজ করার নীতি অনুসরণ করতো, জামায়াতে ইসলামী এখন ঠিক সেই কাজটি করছে। বাস্তবে নীতি বা উদ্দেশ্যের পার্থক্য থাকলেও কমিউনিস্ট পার্টি ও ধর্মীয় মৌলবাদীদের কর্মপন্থা একই রকম। তাই জামায়াত যত সহজ ও সুন্দরভাবে কমিউনিস্ট পার্টির নীতি ও কৌশল অনুসরণ করতে পারবে, এবং করে লাভবান হবে কোনও মাস পিপলের পার্টি অর্থাৎ আওয়ামী লীগ, কংগ্রেস এদের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।

যে কোনও পার্টির ভেতর অন্য একটি পার্টির আর্দশের বা লক্ষ্যের লোকজন উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঢোকা সব সময়ই খারাপ।  আওয়ামী লীগ সৃষ্টির পরপরই যখন কমিউনিস্ট পার্টির লোকজন খুব বেশি আওয়ামী লীগে প্রবেশ করতে থাকে, সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতা, আওয়ামী লীগের নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কিন্তু অত্যন্ত সচেতন ছিলেন এ বিষয়ে।  এম আর আখতার মুকুল প্রায় বলতেন, ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রায়ই বঙ্গবন্ধুকে (তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিব) বলতেন, মুজিব দেখ বেশি লাল মিয়ারা যেন আমাদের দলের হয়ে মনোনয়ন না পায়।  তাছাড়া তিনি দু একজনকে চিহ্নিত করে, তাদের সঙ্গে রসিকতার ছলে বলতেন, তোমাদের মতো আর কত লাল মিয়া আমাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।  সেদিন এই লাল মিয়ারা বেশি পরিমাণে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়ার কারণেই কিন্তু ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগ ভাঙে- আর ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ (ন্যাপ)-এর জন্ম হয়।

আজ অবশ্য ছাত্রলীগে বা আওয়ামী লীগে জামায়াত শিবির অনুপ্রবেশ করে ১৯৫৭ এর মতো আওয়ামী লীগকে দ্বিখণ্ডিত বা ১৯৭২'র মতো ছাত্রলীগকে দ্বিখণ্ডিত, ১৯৮৪'র মতো আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে বাকশাল করার মতো শক্তি তৈরি করার কোনও উপায় নেই।  কারণ, এখন শেখ হাসিনার বলয় থেকে বেরিয়ে যে কোনও কিছু করা সম্ভব নয় এটা গোপন শত্রুরাও বোঝে।  তাই এই ২০১৮ তে তাদের নীতি হলো আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের প্রাণশক্তিকে নষ্ট করে দেওয়া।  ছাত্রলীগের প্রাণশক্তি যে তারা অনেকখানি নষ্ট করতে পেরেছে তা বোঝা গেলো এই কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের অসহায়ত্ব দেখে।  তবে একদিক থেকে এটা ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল শেখ হাসিনার জন্যে ভালো হয়েছে।  কারণ, শেখ হাসিনা প্রকৃত সত্যটি জানতে পারলেন যে তার ছাত্রলীগের ভেতর কতটা ঘুনপোঁকা ধরেছে। তিনি এখন নিঃসন্দেহে এর থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে পারবেন।

প্রথমত এই কোটা বিরোধী আন্দোলনের পরে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ছাত্রলীগ যাদের দ্বারা দেখভাল করা হয়েছে, ও ছাত্রলীগের যে নেতৃত্ব আছে তারা শতভাগ যোগ্য নন।  কেন তারা যোগ্য নন, এই বিষয়টির কারণ খুঁজতে হবে ব্যর্থতার মধ্যে।  এখানে ছাত্রলীগের এবং ছাত্রলীগকে দেখভাল করেছে তাদের সব থেকে বড় ব্যর্থতা, ভার্চুয়াল জগৎ দিয়ে বা সোশ্যাল মাধ্যমে যে এত গুজব ছড়ানো হচ্ছে আর সাধারণ ছাত্রদের প্রতারণা করে একত্রিত করা হচ্ছে-  এর কাউন্টার কিছু ভার্চুয়াল জগৎ দিয়ে বা সোশ্যাল মাধ্যমে ছাত্রলীগ প্রতিরোধ করতে পারেনি- এই কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময়।  অন্যদিকে যারা ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করে তারাও এ কাজে ছাত্রলীগকে নিয়োজিত করতে পারেনি।  উভয়কে এখানে অসহায় দেখা গেছে।  তাছাড়া উভয়ই উপলব্ধি করতে পারেনি, সোশ্যাল ফোরম কতটা শক্তিশালী। অথচ সহজে তাদের বোঝা উচিত ছিল এর আগে এই সোশ্যাল ফোরামের মাধ্যমে পজিটিভ আন্দোলন গণজাগরণ মঞ্চের হয়েছে আবার নেগেটিভ আন্দোলন মাহমুদুর রহমানের ও বিএনপি জামায়াতের তত্ত্বাবধায়নে হেফাজতের আন্দোলন হয়েছে।  এর থেকে বোঝা যায়, ইতিহাস থেকে যে শিক্ষা নিতে হয় সেটা ছাত্রলীগ নেতৃত্ব ও ছাত্রলীগকে যারা দেখভাল করে তারা কেউই নেয়নি।  না হয় তারা এই ভার্চুয়াল জগতের শক্তি উপলব্ধি করতে অক্ষম।  তাই এবারের কাউন্সিলের পরে আগামীতে যে ছাত্রলীগ হবে সেই ছাত্রলীগের নেতৃত্বকে অন্তত এতটুকু যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে, তারা যেন বর্তমানের এই সোশ্যাল মাধ্যমের ক্ষমতা বোঝে।  তারা যেন খোঁজ খবর রাখে, কীভাবে এই সোশ্যাল মাধ্যম ট্রাম্পের নির্বাচনে কাজ করেছে, ব্রেক্সিটে কাজ করেছে।  আর ছাত্রলীগের যে অবশ্যই একটি সোশ্যাল মাধ্যম শক্তি বা ইউনিট সারা দেশে গড়ে তুলতে হবে এটা যেন নেতৃত্বের মাথায় থাকে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্ব এখন নতুন প্রজম্মের হাতে দিতে হবে যারা বর্তমানের এই প্রযুক্তির বিশ্বের ক্ষমতা অ্যানালিসিস করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার যোগ্যতা রাখেন।  কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়াতে এখন স্মার্ট ফোনের এক একটি জেনারেশনের সঙ্গে সঙ্গে তরুণদের এক একটি জেনারেশন বদলে যাচ্ছে।  এই বদলকে ধরতে হবে।  এ বদল ধরতে না পারলে সময়ের কাছে হেরে যাওয়া ছাড়া কোনও পথ খোলা নেই।

এরপরে যে কঠোরতা দরকার তা হলো ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ঠেকানো।  এই অনুপ্রবেশকারী ঠেকানোর প্রশ্ন আজ কেন আসছে? কেন অনুপ্রবেশ করার সুযোগ পেলো? ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছিলেন, আমাদের যথেষ্ট লোক আছে, আমাদের অন্য দলের কাউকে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।  বাস্তবে আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বেছে বের করা এখন খুবই সহজ।  কারণ, এখন চার প্রজম্মের, পাঁচ প্রজম্মের আওয়ামী লীগ পরিবার দেশে দাঁড়িয়ে গেছে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার আছে।  তাই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব খোঁজার জন্যে আওয়ামী লীগকে বাইরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই।  এখন যেটা দরকার, এক ঝাঁক শিক্ষিত ও নিবেদিত নেতৃত্ব খুঁজে বের করা।  এখানে কেউ যেন কারও কোটারি তৈরি না করে।  ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে দেখে এসেছি, ছাত্রলীগের সব থেকে বড় শত্রু আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার কোটারি।  ছাত্রলীগের মূল নেতা শেখ হাসিনা, তার বাইরে তাদের কোনও নেতা নেই- তার বাইরে আছে শুধু ছাত্রলীগ এই যে সকল তরুণের বুকের দৃঢ়ভাবে আছে তাদেরকেই নেতৃত্বে আনার শিক্ষা এই কোটা বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই পেয়েছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জন্যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হলো, তাদের ছাত্রলীগকে মিডিয়া সব সময়ই নেগেটিভ ভাবে চিহ্নিত করে।  ছাত্রলীগের ছেলেদের সময়ই কম মেধাবী, গুন্ডা এমন ধরনের নানান অভিধায় চিহ্নিত করা হয়।  ছাত্রদলের সভাপতি ছিল পিন্টু, চিহ্নিত গুন্ডা, অশিক্ষিত।  বাংলাদেশের মিডিয়ার তা নিয়ে কোন রা ছিল না।  শিবিরের কত নেতা কত ছেলের রগ কেটেছে তা নিয়ে আজো বাংলাদেশের কোনও মিডিয়ায় কোনও রিপোর্ট হয়নি।  অথচ শিবির তাড়াতে গিয়ে, বিএনপির সন্ত্রাস ঠেকাতে গিয়ে যে সব মামলা হয়েছে ছাত্রলীগ নেতাদের নামে তাদেরকে ওইসব মামলার হিসাব দিয়ে মিডিয়ায় চিহ্নিত করা হয়, এরা এতগুলো মামলার আসামি।  ছাত্রলীগ নিয়ে সাগর পাড়ি দিতে আওয়ামী লীগকে কেন যে এই ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ সময় সর্বদা পার হতে হয় এ এক বড় রহস্য।  তবে এ রহস্য’র মূল অত্যন্ত সোজা।  এর কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সামরিক শাসনের বেনিফিসিয়ারি, এমনকি যারা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ ভাঙার পরে ওইসব দলে গেছে তারাই মিডিয়ার নানান স্থানে।  অন্যদিকে পাকিস্তান আমল থেকে তথাকথিত সুশীল সমাজ আওয়ামী বিরোধী, এর একমাত্র কারণ এই সুশীল সমাজ মূলত রক্ষণশীল অর্থাৎ কট্টর মুসলীম লীগ ও সামরিক শাসনের দাস।  অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মূলত সৃষ্টি হয় মুসলীম লীগের উদারনৈতিক অংশের সমন্বয়ে।  যে কারণে আজ যেমন এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী ছাত্রলীগকে গুন্ডা হিসেবে চিহ্নিত করে, ছাত্রলীগ মানেই অশিক্ষিত, খারাপ ছাত্র হিসেবে চিহ্নিত করে।  পাকিস্তান আমলে বদরুদ্দীন ওমরের মতো বহু তথাকথিত বাম ও ছদ্মবেশি ডানরা তৎকালীন আওয়ামী লীগকে গুন্ডাদের পার্টি হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করতো।  মূলত অগণতান্ত্রিক শক্তির হাতকে শক্তিশালী করার জন্যে।  এমনকি তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মেধা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।  আজ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা বের হওয়ার পরে তাদের অনেক 'চেলা চামুন্ডাদে'র মুখে বঙ্গবন্ধুর মেধার প্রশংসা শুনি।  অথচ সেদিনও ভেবে দেখা হয়নি এই ভূখণ্ডে একমাত্র নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যিনি, সব সময়ে ভবিষ্যৎ ভেবে সিদ্ধান্ত নিতেন এবং তাঁর সিদ্ধান্তে তিনি মৃত্যুকে স্বীকার করেও অটল থাকতেন।  একমাত্র সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি ছাড়া এটা সম্ভব হয় না। তাই আজও অনেকের স্বীকার করতে দ্বিধা হয়, তবে ভবিষ্যতের ইতিহাস বলবে, এই ভূখণ্ডে বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় যত রাজনীতিক ছিলেন কেউই রাজনৈতিক ধীশক্তিতে তার ধারে কাছে ছিলেন না। অথচ এর বদলে তখন মিডিয়া বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে ভিন্নভাবে চিহ্নিত করতো।

আগামীতে যারা ছাত্রলীগের নেতা হবে, তাদেরকে মাথায় রাখতে হবে মিডিয়ার সহযোগিতা তারা খুব বেশি পাবে না।  তাদেরকে তাই বঙ্গবন্ধুর মতো লক্ষ্যে স্থির থেকে দৃঢ় চিত্ত নিয়ে কাজ করতে হবে।  আর পাশাপাশি সোশ্যাল মাধ্যমের টিমকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী করতে হবে।  অন্য আরেকটি হীনমন্যতা থেকে তাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে- তা হলো, মিডিয়া ছাড়াও সারাক্ষণ নানানভাবে প্রচার করা হয় ছাত্র শিবিরের ছেলে মেয়েরা মেধাবী ও সৎ। মোটেই তা নয়।  ছাত্রলীগের ছেলে মেয়েরা তাদের থেকে অনেক মেধা সম্পন্ন, কারণ তারা উদার চিন্তার ধারক বাহক।  শুধুমাত্র তাদেরকে দিন ও রাতের ভেতর একটা সময় বের করে পড়াশুনা করতে হবে।  অন্যদিকে শিবিরকে সৎ ভাবার কোনও কারণ নেই, কারণ তারা রাজাকারের সন্তান।  একজন খুনি ও ধর্ষকের ছেলে কখনও সৎ হতে পারে না।  মূলত তাদের অপরাধকে ঢেকে দেওয়ার জন্যে এক শ্রেণির লোক তাদের পক্ষ হয়ে এই প্রচার করে।  শুধু তাই নয় তাদের চোখ কান খোলা রেখে সব কিছু বুঝতে হবে। যেমন গণজাগরণ মঞ্চের সময় কোনও কোনও সম্পাদক নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিশেষ গল্পকার দিয়ে লাকির চরিত্র হনন হয় এমন গল্প লিখিয়ে পত্রিকায় ছেপেছিলেন আর এ মুহূর্তে দুইজন ছাত্রীকে রাত এগারটার পরে তাদের অভিভাবকের কাছে দেওয়া হলে তার প্রতিবাদে চৈনিক কমিউনিস্ট এক তথাকথিত বুদ্ধিজীবী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বলেন এই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারী নির্যাতন হয়েছে।  তাই এদের চিনেই ছাত্রলীগকে ভবিষ্যতের রাজনীতি করতে হবে।

লেখক: সাংবাদিকতায় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্ত।