বুধবার তথ্যমন্ত্রীও বলেছেন, রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম ঢোকানো ষড়যন্ত্র হতে পারে, তদন্ত হওয়া উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ তালিকা প্রকাশে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ভুল স্বীকারসহ দুঃখ প্রকাশ করে তালিকা সংশোধন, প্রয়োজনে প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বুধবার জানিয়েছেন, তালিকাটি সংশোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন। এই যখন অবস্থা, তখন বিতর্কিত তালিকাটি অন্ততপক্ষে স্থগিত না করা বিরাট বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
রাজাকারের তালিকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম কাটাতে হলে আবেদন করতে হবে–মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের করা এই নিয়ম গোলাম আরিফ টিপুর সন্দেহ আরও জোরালো করেছে। সংশোধন করতে সময় লাগবে। করজোড়ে মিনতি করছি, আপাতত তালিকাটি প্রত্যাহারের মতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে অন্তত স্থগিত করে মুক্তিযোদ্ধাদের রাস্তায় নামা বন্ধ করুন। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকতে বিজয়ের মাসে একদল মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকারের অপবাদ থেকে বাঁচতে রাস্তায় আন্দোলন করতে হচ্ছে। দেখতে অসহ্য লাগছে। আর মাত্র একবছর পর দেশ স্বাধীনতার সূর্বণ জয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও আমরা মুক্তিযোদ্ধা কিংবা রাজাকার-কারও নির্ভুল তালিকাই করতে পারলাম না। বরং মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রাজাকার আর রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের দেখা মিলছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এত বড় অযোগ্যতা মেনে নিতে পারে না।
লেখক: হেড অব নিউজ, মাছরাঙা টিভি
[ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘রাজাকারের তালিকা’ স্থগিত করার আগেই এই কলামটি প্রকাশ করা হয়। ]