সোমবার বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান।
ডিআইজি বলেন, ‘রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে বর্তমানে জেএমবির দুটি গ্রুপ বিভক্ত হয়ে অপারেশন পরিচালনা করছে। তারা সাত-আটজনের ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অপারেশনে চালায়। কিলিং গ্রুপের একটি অংশের বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখানে সংঘটিত প্রায় সবগুলো অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছেন। গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদের পর এমন তথ্য পাওয়া গেছে।’
ডিআইজি জানান, ১২টি ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৯ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যা, কাউনিয়ায় মাজারের খাদেম হত্যা, আওয়ামী লীগ নেতা রহমত আলী হত্যা ও খ্রিস্টানদের বাহাই সম্প্রদায়ের নেতা রুহুল ইসলামকে হত্যা চেষ্টা, দিনাজপুরে কান্তজির মন্দিরে বোমা হামলা, কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা। এদের বেশির ভাগ জঙ্গি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
তিনি জানান, জঙ্গিদের অর্থের উৎস এবং এদের মদদ দাতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে।
তিনি দাবি করেন, বেশিরভাগ জঙ্গিদের গ্রেফতার করায় রংপুর বিভাগে জেএমবির তৎপরতা সীমিত হয়ে পড়েছে। ফলে আপাতত রংপুর বিভাগে তেমন ঝুঁকি নেই।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী- ‘আমি লজ্জিত ও বিব্রত’
/এনএস/ এপিএইচ/