আতঙ্কিত মিতুর ছেলে

মাহমুদা খানম মিতু

‘গুণ্ডারা আম্মুকে মারসে। ওরা হোন্ডা নিয়া দাঁড়ায়সিলো। হুম, তিনজন। তারপর একজন দৌড়ায়ে আমাদের দিকে আইসা আম্মুকে ফালাই দিয়ে চাকু ঢুকাই দিছে। আরেকজন গুলি মারসে’। আতঙ্কিত চোখমুখ নিয়ে কথাগুলো গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়  পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও গৃহিণী মাহমুদা খানম মিতু দম্পতির ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহির (৭)। তাকে স্কুলে দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন মিতু।

মাহির ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। মায়ের মৃতদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়া মাহিরকে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি সরিয়ে নেন তাদের দারোয়ান।

মিতুর বাসার দারোয়ান ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘হঠাৎ দেখি মানুষে দৌড়াদৌড়ি করতেসে। আমি একজনরে দাঁড়া করায়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কী হইসে। কয় একটা মহিলারে মাইরা গেসেগা। আগায়ে যাইতে দেখি বাবুল সাহেবের ছেলেডা.. আহহা।’

‘আমি কিছু ভাবি নাই। দৌড় দিয়া গিয়া কোল লইসি। কয় আমার আম্মুরে মাইরালাইসে।এরপরে ছেলেডারে লইয়া আইসি আমি।ওখানে আর কিসু দেহি না, বাচ্চাটা তাড়াতাড়ি আমি লইয়া আইসি। বলা যায় না, বাচ্চাডাও যদি মাইরালাই।’

রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাচ্ছিলেন মিতু। পথে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলের তিন দুর্বৃত্ত তাকে  গুলি ও ছুরিকাঘাতে  হত্যা করে বলে জানিয়েছে সঙ্গে থাকা তার ছেলে।

মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার তিন দিন আগে বদলি হয়ে ঢাকায় এসপি হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন:  সন্দেহের তীর জঙ্গিদের দিকে

/ইউআই /এপিএইচ/