এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার নতুন করে দু’জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে এহতেশামুল হক ভোলা ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া (৪১) এবং মনির (২৮)। এদের মধ্যে ভোলাকে ‘খুনি’দের অস্ত্র সরবরাহকারী ও মনিরকে অস্ত্র গোপনকারী বলে দাবি করেছে গোয়েন্দারা। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হলো।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য্য (অপরাধ ও অভিযান) সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এর আগে গ্রেফতারকৃত আনোয়ার ও ওয়াসিমের জবানবন্দিতে ভোলার নাম উঠে আসে। ভোলা কিলিং মিশনের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করেন। এসব অস্ত্র তিনি সংগ্রহ করেন বাকলিয়া রাজাখালীর মনিরের কাছ থেকে এবং মিশন শেষে তা আবার মনিরকে ফেরত দেন।এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে দশটার সময় ভোলাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে বাকলিয়ার রাজাখালী বিশ্বরোডের পশ্চিম পাশে কবির সওদাগর মতান্তরে এরশাদের কলোনির ৮ নম্বর কক্ষ থেকে মনিরকে গ্রেফতারসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৬ রাউন্ড তাজা গুলিও উদ্ধার করেন তারা।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র দুটির একটি পয়েন্ট থ্রি টু (.৩২) বোরের অপরটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ (৭.৬৫) বোরের বিদেশি পিস্তল।
দেবদাস ভট্টাচার্য্য আরও জানান, এ ঘটনায় মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা এবং ভোলার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও হত্যা উভয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত ভোলার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে।এর মধ্যে ৪টি হচ্ছে খুনের মামলা।
তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ মঙ্গলবারই আদালতে আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির নামের ওই দুইজনকে মঙ্গলবার ভোররাতে নগরীর বাকলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুটি অস্ত্রের মধ্যে একটি মনিরের কাছ থেকে এবং আরেকটি আগেই গ্রেফতার হওয়া ভোলার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি গত রবিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
/টিএন/