রায়পুরায় নৌকাডুবিতে ৯ জনের সলিল সমাধি

জেলার রায়পুরা উপজেলার জঙ্গি শিবপুরের আড়িয়াল খাঁ নদে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবিতে নারী-শিশুসহ ৯ জনের সলিল সমাধি ঘটেছে। শনিবার দুপুরে ঢাকা ডুবুরি দলের স্টেশন অফিসার পতিরাম মণ্ডলের নেতৃত্বে চলে উদ্ধার কাজ। নরসিংদী নিহতরা হলো বেলাব উপজেলার দেওয়ানের চর গ্রামের মৃত ফজর আলীর স্ত্রী মালদার নেছা (৮০),  তার নাতী ও আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ইয়াছিন (৬), একই উপজেলার বাড়ৈচা এলাকার মিলন মিয়ার কন্যা মারজিয়া (৩), রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব (১৩), আক্তার হোসেনের ছেলে সম্রাট (৪), রবিউল ইসলামের কন্যা সুমাইয়া (৩), সুন্দর আলীর কন্যা জেরিন (৬), মিয়া বক্স এর স্ত্রী ফুলেছা বেগম (৬০) এবং নাদিম (১০),  পিতা অজ্ঞাত। 
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, শতাধিক যাত্রী নিয়ে সকাল ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী বি-বাড়িয়া জেলার নবীনগরের গণি শাহ মাজারে ওরশ শরিফে যাচ্ছিল নৌকাটি। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নৌকাটি অল্প কিছুদুর গেলেই ডুবে যায়। আশপাশের লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার কাজ চালায়। এসময় ঘটনাস্থলেই ৪ শিশু ও এক নারী সহ ৫ জনের মৃত্যু ঘটে। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। বাকী আহতরা ভৈরব, নরসিংদীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাড়ৈচা গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী মো. হযরত আলী জানান, দুই নৌকার প্রায় দু’শো যাত্রী একটি নৌকায় উঠে। অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় ও নৌকার ছাদে শিশুরা উল্লাস করার এক সময় নৌকা একদিকে কাৎ হয়ে নৌকাটি উল্টে যায়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)খন্দকার নুরুল হক বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী ও ভৈরবের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিসার জন্য পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে ঢাকা থেকে আগত ডুবুরী দলের সদস্যরা কাজ করেছেন। সন্ধান না পাওয়ায় বিকেল সাড়ে পাঁটার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে কোনও নিখোঁজের অভিযোগ পেলে আবারো তল্লাসী চালানো হতে পারে।
 তিনি আর তাৎক্ষণিক নিহতদের দাফন করার জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, লাশগুলো ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন: খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্য কত দূর?

 

 /এমএসএম/