পিযুষ কান্তি দে(৩০)সিলেট নগরের ভাঙ্গাটিকর শেখঘাট এলাকার নবীন-৩ নং বাসার মৃত ননী গোপাল দে’র ছেলে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) সোহেল আহাম্মদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পিযুষের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ, নারী নির্যাতন, অস্ত্র আইনে ১০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার অভিযোগপত্র পুলিশ ইতোমধ্যে আদালতে দাখিল করেছে। গ্রেফতার এড়াতে পিযুষ প্রায়ই আত্মগোপনে থাকে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়াও থানায় তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি সাধারণ ডায়রিও আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সিলেটে পিযুষ এতোটাই বেপরোয়া যে তাকে কেউ থামাতে পারছেন না। এমনকি দলের দলের দায়িত্বশীল নেতাদেরও সে মানে না। তার বিরুদ্ধে থানা পুলিশের পাশাপাশি আমাদের কাছেও বিভিন্ন ব্যক্তি অভিযোগ করেন। কিন্তু আমাদের কিছুই করার থাকে না। এসব বিষয়ে আমরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অনেকবারই অভিযোগ করেছি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা বাংলা ট্রিবিউন’কে জানান, মামলা ও ওয়ারেন্ট থাকলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। আইন সবার জন্য সমান, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন, এমনকি পিযুষও না। তার বিরুদ্ধে মহানগরীর যে কোনও থানায় ভুক্তভোগী কেউ অভিযোগ দিলে তা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।
পুলিশ সূত্র জানান, ২০০৬ সালের ১৩ আগস্ট চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা নং-৪১, ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা নং-১৬, একই বছরের ৩১ আগস্ট চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা নং-৩৮ দায়ের করা হয়। এছাড়াও ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট মামলা নং-৩৫, ২০১২ সালের ১৪ মে অস্ত্র আইনে মামলা নং-৭, অপহরণের ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৯ জুন মামলা নং-৩৫, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর অপহরণের ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দগঞ্জের গুমগুমিয়া গ্রামের আবদুল ওয়াহাবের ছেলে হারুনুর রশিদ (২৫) মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরকারী হারুন বর্তমানে নগরীর বাগবাড়ির শামীমাবাদ আবাসিক এলাকায় বসবাস করছেন। পিযুষ ছাড়াও এ মামলায় তার গ্রুপের আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। একই দিনে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা নং-২৫, মারমারির ঘটনায় ২০১২ সালের ১৫ ফ্রেবুয়ারি মামলা নং-৯, ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল মামলা নং-১০ এবং সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানায় মারমারির ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৯ মে মামলা নং-১২ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
/এইচকে/